ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জুন ২০২৫, ২৩ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ওয়ারিশ সনদ আটকে রাখলেন পৌরকর্মী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২২, জুন ১৯, ২০২৫
জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ওয়ারিশ সনদ আটকে রাখলেন পৌরকর্মী

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভার নিম্নমান সহকারী সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের ওয়ারিশান সনদ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।  

পৌর শহরের বাসিন্দা শাহরিয়ার ইমান রাতুল নামে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, সেলিনার সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

এরই জেরে দীর্ঘদিন ধরে তার ওয়ারিশান সনদ আটকে রেখেছেন সেলিনা।

এ ঘটনায় তিনি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গত (৪ জুন) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও জুয়েল আহমেদ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আলাদা বিষয়। কোনো অবস্থাতেই কাউকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ভুক্তভোগী শাহরিয়ার ইমান রাতুল মোহনগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দৌলতপুরের বাসিন্দা।  

ভুক্তভোগী শাহরিয়ার ইমান রাতুল অভিযোগে জানান, তিনি গত ৯ মে ওয়ারিশান সনদপত্রের জন্য পৌরসভায় আবেদন করেন। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রাতুল এখনো তার প্রয়োজনীয় সনদপত্রটি পাননি। এতে তার জমি খরিজ সংক্রান্ত কাজ করতে পারছেন না। পরে পৌরসভায় খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার আবেদনটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করছেন পৌরকর্মী সেলিনা আক্তার।

তার দাবি, পৌরসভার নিম্নমান সহকারী সেলিনা আক্তারের সঙ্গে তার পারিবারিক জমিজমা নিয়ে ২০২২ সালে একটি বিরোধ দেখা দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা চলমান রয়েছে। সেই বিরোধের জেরেই সেলিনা আক্তার পৌরসভার প্রভাব খাটিয়ে তার নাগরিক অধিকার খর্ব করছেন এবং তাকে হয়রানি করছেন।

এছাড়াও তিনি জানান, ২০২৩ সালে নিজের বাসার সামনে একটি মার্কেট নির্মাণের অনুমতির জন্য পৌরসভায় আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেটিও অনুমোদিত হয়নি। সেখানেও প্রভাব খাটিয়ে তাকে অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে।

শাহরিয়ার ইমান রাতুল পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।  
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার নিম্নমান সহকারী অভিযুক্ত সেলিনা আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে এমন কোনো আবেদন দেওয়া হয়নি। হয়তো অফিসের অন্য কারো কাছে দিয়েছে। আমি কারো আবেদন আটকাতে হস্তক্ষেপ করিনি।  

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।