ঢাকা, শনিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

বরিশালে অস্ত্র-মাদকসহ ইউপি সদস্য রাসেলসহ আটক ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৭, আগস্ট ১৫, ২০২৫
বরিশালে অস্ত্র-মাদকসহ ইউপি সদস্য রাসেলসহ আটক ৪ সংগৃহীত ফটো

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রাসেল হাওলাদার (৩৮) ও তার তিন সহযোগীকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও মাদক কেনাবেচার নগদ ছয় হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল।  

এর আগে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর লামছড়ি এলাকার গাজীর খেয়াঘাট সংলগ্ন রাসেল মেম্বারের বসতঘরে অভিযান চালান মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)র সদস্যরা।  

ডিবির পরিদর্শক মো. ছগির হোসেন জানান, অভিযানে মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি ইউপি সদস্য রাসেল হাওলাদার ওরফে রাসেল মেম্বারসহ চারজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও তিনজন পালিয়ে যায়।

পালিয়ে যাওয়া তিনজন হলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানাধীন চড়বাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি এলাকার  রুবেল সর্দার (৪০), উত্তর লামছড়ি এলাকার সুলতান চৌকিদারের ছেলে সালম চৌকিদার (৩৫) ও তালতলী বাজারের জলিল মোল্লার ছেলে আলামিন মোল্লা (২৮)।  

অপরদিকে আটককৃত রাসেল হাওলাদার ওরফে মেম্বার রাসেল চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর লামছড়ি এলাকার তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে। এ ছাড়া রাসেলের সাথে আটক অপর তিনজন হলেন, উত্তর লামছড়ি এলাকার রুবেল সরদারের ছেলে রাবিব সর্দার (২৪), চড়বাড়িয়া এলাকার বেল্লাল ফকিরের ছেলে মামুন ফকির (২৫) ও লাল মিয়া ব্যাপারীর ছেলে শাওন ব্যাপারী (২৫)।

মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের এ ঘটনায় আটককৃত ও পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবির এসআই জাহিদ হাসান।  

উল্লেখ্য প্রায় দেড় যুগ ধরে রাসেল মাদক ব্যবসায় জড়িত। আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী স্থানীয় নেতার ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রভাব আরও বেড়ে যায় এবং প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি শুরু করে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থ সহায়তার বিনিময়ে সে স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠে।  

সার্বিক বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর দপ্তর) সুশান্ত সরকার জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও একাধিক মামলার অভিযোগ রয়েছে, যা খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে তার বাড়ির আশপাশে পুলিশ অবস্থান নেয়। উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সগীরের নেতৃত্বে থাকা দল তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। তবে তার কয়েকজন সহযোগী এখনও পলাতক, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।  

এদিকে আটক রাসেলের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ছাড়াও তার কাছে অবৈধ রিভলভার থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।  

তিনি আরও বলেন, সমাজের অসংগতি ও মাদক ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচনে গণমাধ্যম এগিয়ে আসুক, পুলিশ শতভাগ সহযোগিতা করবে।

এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।