যশোর: যশোরে কর্মরত দুইজন বিচারকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন সিনিয়র একজন আইনজীবী।
অভিযোগকারী দেবাশীষ দাস যশোর জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি।
অভিযোগে অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দাস উল্লেখ করেছেন, গত ১৫ আগস্ট (শুক্রবার) যশোর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুবাইদা রওশন আরা। ওইদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন আসামিকে আদালত ভবনের নিচতলার হাজতখানায় আনা হয়।
সেসময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক লোক। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক আদালতে না থেকে ঝিকরগাছার গদখালীর ফুলবাগানে ভ্রমণে যান। এতে আসামি ও সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে দাবি করেন অভিযোগকারী।
একই অভিযোগে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানাও দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না।
অভিযোগে অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দাস আরও উল্লেখ করেছেন, কয়েক মাস আগে দুপুর বেলায় যশোর জজ আদালতের হাজতখানা থেকে একজন আসামি পালিয়ে যায়। এছাড়া, যশোরে সম্প্রতি হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ অবস্থায় রাতে হাজতখানায় আসামিদের রাখা নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি শুক্রবার একজন ম্যাজিস্ট্রেট ইমার্জেন্সি ডিউটিতে থাকেন। পুলিশ সদস্যরা সকাল ৯টা থেকেই একটা স্বাক্ষরের জন্য আসামি নিয়ে এসে অপেক্ষ করেন। অনেক সময় দেখা যায় বিচারকের অনুপস্থিতিজনিত কারণে পুলিশ, আসামিরা সারাদিন না খেয়ে বসে থাকেন একটা স্বাক্ষরের জন্য। বিষয়টি চরম অমানবিক এবং সাংবিধানিক অধিকার পরিপন্থী।
প্রশাসনিক চিফও এ বিষয়ে চরম দায়িত্ব অবহেলার পরিচয় দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানের জন্য আমি একটা আবেদন করেছি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর’।
এসএইচ