ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড আরেকজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৪, আগস্ট ২০, ২০২৫
শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড আরেকজনের যাবজ্জীবন নিহত শিশু সায়মনের মায়ের আহাজারি ও আসামিরা

কুমিল্লার তিতাসে ৭ বছর বয়সী শিশুকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন।

 

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে শিশু সায়মন তিতাসের বাতাকান্দি বাজারে যায়। সেখান থেকে কোমলপানীয় কিনে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। ১৮ আগস্ট নিখোঁজের বিষয়ে তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। পরে ১৯ আগস্ট সকালে বজলুর রহমানের বালুর মাঠের ঝোপের ভেতর থেকে সায়মনের অর্ধগলিত পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

এ ঘটনায় মা খোরশেদা আক্তার সায়মনের চাচি শেফালী বেগম এবং অজ্ঞাত পাঁচ/ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তে বিল্লাল পাঠানের নাম উঠে আসে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আসামি শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযোগপত্র দায়ের ও শুনানি শেষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড এবং সায়মনের চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া দুইজনকেই লাশ গুমের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজাও ঘোষণা করেন বিচারক।  

আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন জানান, চাচি শেফালী বেগমের সঙ্গে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।

সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার বলেন, আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট। রাষ্ট্রের কাছে সন্তান হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়নের আবেদন জানাচ্ছি।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।