ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৭, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১  নরসিংদীর মানচিত্র

নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত এবং অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ও বহিষ্কৃত সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসময় নরসিংদী সদর হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহকালে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় যমুনা টিভির নরসিংদীর স্টাফ রিপোর্টার আইয়ুব খান সরকার আহত হয়েছেন।

নিহত ইদন মিয়া (৭০) মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। তবে, প্রাথমিকভাবে আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় নি।

স্থানীয়রা বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর উভয় গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় বিভাজন তৈরি হয় এবং বিভাজন থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

জানা যায়, নদী থেকে বালু উত্তোলন, দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ও সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত একই কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া পরস্পর বিরোধে জড়ায়। পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতেও তারা পৃথকভাবে পালন করেন। বিরোধের ধারাবাহিকতায় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ইদন মিয়া। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়।

এদিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাসপাতাল কম্পাউন্ডে অবস্থান করছিলেন আইয়ুব খানসহ সংবাদকর্মীরা। এসময় আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কাইউয়ুমকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তার সমর্থকরা। একপর্যায়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করলে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে অন্যান্য সংবাদিক ও উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় হাসপাতালের ভেতরে আশ্রয় নেন তিনি।

আহত সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকার বলেন, আমি বিএনপির দুই গ্রুপের সংর্ঘষের খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই এবং সংবাদ অফিসে পাঠাই। এই  সংবাদ ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য সচিব কাইয়ুম সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তার লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি তাদের বিচার চাই।

সদর হাসপাতালের আরএমও ফরিদা গুলশানারা কবির জানান, ঘটনার পরে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মাথার ডান পাশে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় ইনজুরির কারণে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।