খাগড়াছড়িতে তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলার গুইমারায় সহিংসতাচলাকালে দুর্বৃত্তের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহতের পর এখনও থমথমে অবস্থা।
নিহতের লাশগুলো রোববার শেষ বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হতে পারে।
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার জের ধরে কয়েকদিন ধরে খাগড়াছড়িতে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। পাহাড়ি ও বাঙালিদের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এদিকে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা এখনো বহাল রয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
সড়ক অবরোধের কারণে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। আজও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তাভাবে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ পালন করছেন পিকেটাররা। তবে পিকেটারদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। শহর, শহরতলীর সড়কগুলো একদম ফাঁকা। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
লংগদু, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন বাজারের জন্য কাঁচামাল নিয়ে কিছু ট্রাক, পিকআপভ্যান আটকা পড়েছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সবকিছু।
এদিকে অপর দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, সহিংসতায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক বিচার, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারসহ আট দফা দাবিতে চলমান অবরোধ কর্মসূচি অপর দুই জেলা রাঙামাটি ও বান্দরবানেও ঘোষণা করা হয়। যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। এই সময় পর্যটন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়। আগের মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি বিজিবি, পুলিশ মাঠে রয়েছে।
২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। পরে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হলেও বাকি দুইজনকে এখনো আটক করা যায়নি। প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ আহ্বান করা হয়।
এডি/এএটি