বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় গভীর রাতে দুর্বৃত্তের হামলায় যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম মিন্টুর (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত৩টার পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
হত্যার শিকার মিন্টু কচুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের সরদার আবু বক্কারের ছেলে। তার দুই স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই বিয়ের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মিন্টু পারিবারিক অশান্তিতে ছিলেন। সোমবার গভীর রাতে শিবপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে বড় স্ত্রীর সাথে মিন্টুর ঝামেলা শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাইরে থেকে ৮-১০ জন লোক এসে মিন্টুকে মারধর করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বাগেরহাট ২৫০ শহর জেলা হাসপাতালে নেয় পরিবারের সদস্যরা। অবস্থা গুরুতর হলে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
রাড়িপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার রেজাউল হোসেন চল বলেন, মিন্টু আমাদের দলের একজন যুবদলের কর্মী ছিলেন। তার এমন মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: শামীম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে এদিন সকালে বাগেরহাট শহরের পঁচা দিঘী থেকে ভাসমান অবস্থায় সুমন্ত বিশ্বাস নামের এক রাজমিস্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
এমআরএম