যশোর: সাগরের ভারতীয় উপকূলে উদ্ধার ১২ বাংলাদেশি নাবিক দীর্ঘ আট মাস পর দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে শনিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর এসব নাবিককে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবাংলার প্রস্তাবিত সুন্দরবন জেলার সাগরদ্বীপ থানার ঘোড়ামারি নদীতে সিমেন্টবোঝাই একটি জাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ১২জন বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি সাইক্লোন সেন্টারে রাখা হয়।
এমভি সি ওয়ার্ল্ড নামের ওই জাহাজটি ছিল নরসিংদীর ঘোড়াশাল সিমেন্ট ফ্যাক্টরির।
ফিরে আসা নাবিকেরা হলেন, বাগেরহাট সদর থানার চেয়ারগ্রামের আরজ আলী শেখের ছেলে রাজিব শেখ (২৭), চিতলমারীর বাবুগঞ্জ বাজারের বেতবুনিয়া বোয়ালিয়া গ্রামের ইমদাদুল শেখের ছেলে শরিফুল শেখ (২০), একই এলাকার হুমায়ন শেখের ছেলে বাপ্পি শেখ (১৮), ফকিরহাট থানার শুভদিয়া এলাকার ছোট শুভদিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার সরদারের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৪), মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার পানিঘাটার মাশাখৈল গ্রামের মিকাইল ফকিরের ছেলে মিহাত ফকির (২২), একই এলাকার আকরাম ফকিরের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৯), নড়াইলের লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া কালিগঞ্জের লাহুরিয়া পশ্চিমপাড়ার আবুল হোসাইন মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা (২৫), একই এলাকার মাহাবুবুর রহামানের ছেলে জিহাদ মোল্লা (২৫), ইতনার ইদ্রিস শেখের ছেলে আহাদ শেখ (২৬), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ফুকরার কুরালিয়া গ্রামের হাবিবুর শেখের ছেলে আল আমিন শেখ (৩২), একই এলাকার শের আলীর ছেলে সাগর হোসেন (২৬) এবং যশোর সদর উপজেলার কচুয়া এলাকার মৃত মহিউদ্দিন শেখের ছেলে জসীমউদ্দীন শেখ (৫৩)।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ইন্সপেক্টর তাজুল ইসলাম জানান, ভারতীয় উপকূলে উদ্ধার হওয়া ১২ বাংলাদেশি নাবিক বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরে এসেছে। তারা এসব নাবিককে গ্রহণ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মানিক জানান, প্রত্যাবসিত বাংলাদেশি নাবিকদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের ডেপুটি ম্যানেজার শাওলী সুলতানা জানান, ফিরে আসা নাবিকদেরকে জিম্মায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এসএইচ