রাঙামাটি: টিকটকে পরিচয়ের সূত্রে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ডেকে নেন যুবক। এরপর মাদকের আখড়ায় আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাঙামাটি জেলা শহরের বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ রয়েছে, কিশোরীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সে পালিয়ে পানিতে লাফ দেয়। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে খবর দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সালাউদ্দিন পলাতক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নড়াইল জেলা সদরের নারায়ণপুর গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে কয়েক মাস আগে টিকটকে পরিচয় হয় রাঙামাটির শান্তি নগরের সালাউদ্দিনের। পরিচয় থেকে প্রেম হয়। রাঙামাটির সালাউদ্দিন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। সালাউদ্দিনকে বিশ্বাস করে স্বামীর সংসারে যায়নি ওই কিশোরী।
গত ১৫ অক্টোবর মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে রাঙামাটিতে নিয়ে আসেন সালাউদ্দিন। বাস টার্মিনাল সংলগ্ন শান্তিনগরের জনৈক আলমের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় তাকে রাখেন।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী বলে, আমাকে সালাউদ্দিন ধর্ষণ করেছে। আমাকে রুমে আটকে রেখে ইয়াবা, গাঁজা সেবন করত আর আমাকে নির্যাতন করত।
কিশোরী আরও বলেন, শনিবার বিকেলে আমাকে আবারও ধর্ষণ করতে চাইলে আমি বাথরুমে যাওয়ার নাম করে নদীতে ঝাঁপ দিই। স্থানীয় মানুষজন আমাকে উদ্ধার করে প্রাণে রক্ষা করে।
কোতোয়ালি থানা-পুলিশ জানায়, কিশোরীকে মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত দেখাচ্ছে। তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী সালাউদ্দিনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর থানায় মামলা হয়েছে।
এসআরএস