পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালীতে ডাকাত সন্দেহে মো. আলী হোসেন (৩৮) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আলী হোসেন উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের বান্দাঘাটা এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিয়ালকাঠি বান্দাকাটা গ্রামে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আলী হোসেনকে একা দেখতে পান। তখন এলাকার লোকজন ডাকাত সন্দেহে আলীকে আটক করে বেধড়ক মারধর করেন। পরে অন্য এলাকা থেকেও লোকজন এসে তাকে গণপিটুনি দিয়ে আহত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আলীকে উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফর্ড করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার জানান, আলী হোসেন এবং সে অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকেন না। রোববার সকালে তার স্বামী ও ভাই সোলায়মানসহ তারা তিনজনে বাড়িতে আসেন। রাতেই তাদের ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাদের বাড়ির সামনে এসে “ডাকাত” বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আলী হোসেন ঘরের বাইরে বের হলে তাকে ধরে ঘরের পাশে একটি সুপারি বাগানে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ব বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গভীর রাত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান,এ ঘটনায় আলীর স্ত্রী সোনিয়া বাদী হয়ে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, আলী হোসেন বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
আরএ