ঢাকা, সোমবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

চাঁদপুরে ইজিবাইকচালক হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৫, অক্টোবর ২০, ২০২৫
চাঁদপুরে ইজিবাইকচালক হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামাবাদ গ্রামে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ইজিবাইকচালক ইব্রাহীম পাটোয়ারীকে (৪৮) হত্যার দায়ে মো. আরিফ হোসেন (৩৫) ও মো. সবুজ (২৫) নামে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই ঘটনায় আদালত অপর ধারায় আসামীদের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, চার হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এই রায় দেন।

হত্যার শিকার ইব্রাহীম পাটোয়ারী উপজেলার দক্ষিণ ইসলামাবাদ গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফ হোসেন উপজেলার দক্ষিণ ইসলামবাদ গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. নুরুল ইসলামের ছেলে এবং মো. সবুজ ইন্দুরিয়া ইসলামাবাদ গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির শহীদুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, হত্যার শিকার ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগমের সঙ্গে আসামিদের পারিবারিক কলহের কারণে বিরোধ ছিল। ফলে তিনি নিকটাত্মীয়র বাড়িতে চলে যান। এরই মধ্যে ইব্রাহিম নিজের দুটি ইজিবাইক এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। ঘটনার সময় ২০২০ সালের ৯ মার্চ রাতে ইব্রাহীম তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আত্মীয় বাড়িতে যান। ওই বাড়ি থেকে ইব্রাহীমকে ফোন করে ডেকে নেন আসামি ইব্রাহীম ও সবুজ।

এরপর ১০ মার্চ রাতে আসামিরা ইব্রাহীমের সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ওই এলাকার জনৈক আব্দুল কাদিরের মাছ চাষের পুকুরে ফেলে যান। ১৩ মার্চ স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন পুকুরে লাশ ভেসে উঠেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ইব্রাহীমের স্ত্রী নিলুফা বেগম লাশটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় নিলুফা বেগম ১৩ মার্চ মতলব উত্তর থানায় আরিফ ও সবুজকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ১৫ মার্চ আসামিদের গ্রেপ্তার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কোহিনুর বেগম বলেন, মামলাটি পাঁচ বছরের অধিক সময় চলমান অবস্থায় আদালত ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আসামিরা তাদের অপরাধ শিকার করায় বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, মাসুম হোসেন ভুঁইয়া ও সেলিম মিয়া।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।