ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

আমরা টেকনোলজিস’র এজিএমে অসন্তোষ- ক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৩
আমরা টেকনোলজিস’র এজিএমে অসন্তোষ- ক্ষোভ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গত বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড ৫শতাংশ কম, আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস) ২.৪৬ স্থলে ১.৪৬ টাকায় নেমে আসা, সময় মতো বাষিক রিপোর্ট না পাওয়া এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেওয়া গ্রাহকদের কোন গিফট প্রদান না করায় চরম অসন্তুষ্টি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আমরা টেকনোলজিস লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডাররা।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে কোম্পানির ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু হয়ে চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত।

আর সভার প্রায় পুরো সময় জুড়েই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডাররা একের পর এক ডায়াসে গিয়ে তারা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সভায় অংশ নেন কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ, ইন্ডিপেডেন্ট পরিচালক কেএম হাসান, পরিচালক সায়েদা মুনিয়া আহমেদ, ফাহমিদা আহমেদ, সচিব মো. এনামুল হক এবং প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডারগণ

শেয়ার হোল্ডাররা অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ডিভিডেন্ড বাড়িয়ে দেওয়ার কথা কিন্তু কোম্পানি তা না বাড়িয়ে বরং আগের তুলনায় ৫শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। আর এটি মার্কেটে শেয়ার ফল করার অন্যতম বড় কারণ।

আর ইপিএস বাড়িয়ে দেয়া হলে শেয়ারের দাম যথারীতি বেড়ে যেতো। আর মার্কেটে তা বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করা যেতো। কিন্তু কোম্পানি এ ব্যাপারে কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়নি বলে তাদের অভিযোগ।

কোম্পানির বার্ষিক রিপোর্ট প্রসঙ্গে অভিযোগ করে তারা বলেন, বার্ষিক সাধারণ সভায় অন্তত ১৫ দিন আগে বার্ষিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা। কিন্তু তা না দিয়ে বরং সভা শুরু হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে এর ক্রটিগুলোও সভায় উপস্থাপন করা যায় না।
 
সভায় গিফট না পাওয়ায ক্ষোভ প্রকাশ করে শেয়ার হোল্ডাররা বলেন, সাধারণত এজিএম সভায় প্রতিটি গ্রাহক গিফটসহ খাবার পাওয়ার কথা। কিন্তু কোম্পানি এই বিষয়গুলো সুকৌশলভাবে এড়িয়ে গেছে।

সভার প্রায় পুরো সময় শেয়ার হোল্ডাররা বক্তৃতা করলেও শেষের দিকে ৬ থেকে ৮ মিনিটের বক্তৃতায় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রাহকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে।

কোম্পানি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, আপনারা ধৈয্য ধরেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেয়ারের দাম বাড়বে আর তখন ডিভিডেন্ড ও ইপিএসও বাড়বে। সেভাবেই আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ বলেন, আমরা মাল ও এলসির টাকা সময় মতো পরিশোধ করেছি। কিন্তু আয়ের টাকা সময় মতো তুলতে পারেনি বলেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।

আর গ্রাহকদের কোন গিফট না দিতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (সিইসি) নির্দেশ দিয়েছে বলেই দেওয়া হয়নি। তবে, পরবর্তীতে এজিএম সভায় দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, পুজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মুলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মুলধন ৫০কোটি ৩০ লাখ টাকা। কোম্পানিটিতে ৭ নভেম্বর‘২০১৩ পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডার ছিলেন ১০হাজার ৫৬৮ জন। কর্মী সংখ্যা ১০৯ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৩
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।