ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ডিএসইতে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
ডিএসইতে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

ঢাকা: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দরপতন ঘটেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। তবে মূল্য সূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।


 
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। কমেছে অপর দু’টি সূচকও।
 
এরমধ্যে ডিএসই-৩০ সূচকটি ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১০২ পয়েন্টে।
 
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৮০ কোটি টাকা বেশি। এ বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৭৬টি প্রতিষ্ঠানই এদিন দর হারিয়েছে। এর বিপরীতে দাম বেড়েছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩টি।
 
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপরই বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৫ পয়েন্ট। বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে বাড়ে ৯ পয়েন্ট। বেলা ১১টায় বাড়ে ৮ পয়েন্ট। ১১টা ১০ মিনিটে বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
 
সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত থাকায় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৭ পয়েন্ট। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ১ পয়েন্ট।
 
এরপরই নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক। দুপুর ১২টায় ডিএসইএক্স সূচক ৭ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর আর ধনাত্মক হয়নি ডিএসইএক্স। দুপুর ১টায় কমে ৫ পয়েন্ট। দুপুর ২টায় কমে ১২ পয়েন্ট। আর লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
 
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসইতে শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, কাশেম ড্রাইসেল, বেক্সিমকো, এসিআই, ইফাদ অটোস, স্কয়ার ফার্মা, এমারেল্ড অয়েল, কেডিএস, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ও বিএসআরএম স্টিল।
 
আগের দিনের মতো সোমবারও লেনদেনে আধিপত্য ধরে রেখেছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৫৯ শতাংশই এ খাতের। আগের দিন রোববার মোট লেনদেনে প্রকৌশল খাতের অংশ ছিল ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।
 
বাকি খাতগুলোর মধ্যে মোট লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাতের অংশ ১৮ শতাংশ, জ্বালানি খাতের ১০ দশমিক ২ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৭ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া বাকি সবকটি খাতের অবদান ৫ শতাংশের নিচে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এএসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।