ঢাকা: দিনভর সূচক ওঠানামার পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দেশের উভয় পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ৩৩ পয়েন্ট, চট্টগ্রামের বাজারে কমেছে ৬৩ পয়েন্ট।
সূচক পতনের পাশাপাশি এদিন কমেছে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এছাড়াও কমেছে বাজার মূলধন। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সমন্বয় সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনীহার পাশাপাশি বাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর নেতিবাচক বক্তব্যের জেরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাক বাজেট আলোচনায় পুঁজিবাজারকে ‘লুটের বাজার’ বলে মন্ত্যব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ২০১০ সালের ধসের লুটেরাই এখনো বাজারের বড় পজিশনে বহাল রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। ফলে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকায় দরপতন হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। প্রাক বাজেট অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক ১০ দশমকি ৪৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ২১৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ৮৭ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪২৫ কোটি টাকা।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৩ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৬০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
এমআই/জেডএস