ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

সিএসইর এমডি হচ্ছেন সাইফুর রহমান মজুমদার

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৬
সিএসইর এমডি হচ্ছেন সাইফুর রহমান মজুমদার

ঢাকা: দীর্ঘ ছয় মাস নাটকের পর অবশেষে দেশের বৃহত্তম পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগ পাচ্ছেন মিনহাজ সিকিউরিটিজের এমডি ও মিনহাজ গ্রুপের নিবার্হী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান মজুমদার।

 সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিএসইর পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত ক্রমে সাইফুর রহমানকে সিএসইর এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সব কার্যক্রম শেষ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) রোববার (৮মে) অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিএসই আশা করছে দু’একদিনের মধ্যে কমিশন অনুমোদন দেবে। অথাৎ এখন শুধু কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষা।

এর ফলে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ পরবর্তী সিএসইর ২য়এমডি হিসেবে তিনি নিয়োগ পাচ্ছেন। এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর র্বোডের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন ওয়ালি উল মারুফ মতিন।

এ বিষয়ে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে জানান, এমডি নিয়োগের জন্য সাইফুর রহমান মজুমদার চূড়ান্ত করেছে নিয়োগ বোর্ড। এরই আলোকে কশিনের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রোববার আবেদন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সিএসইর সদস্য মিনহাজ সিকিউরটিজের এমডি  হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

জানতে চাইলে সিএসইর পরিচালক শেখ মো. মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৃত পক্ষে সিএসই এখনো লোকসানে রয়েছে। লোকসানে থাকা এই স্টক এক্সচেঞ্জকে ভালোভাবে পরিচালনা ও ব্যবসায়িকভাবে সফল করতে যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। এ কারণে এমডি নিয়োগে একটু সময় লেগেছে।

তিনি বলেন,  সিএসই এখনো ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জে পরিণত হয়নি। এখনো বাকি দুই ধাপ। তার প্রথম ধাপ হচ্ছে কৌশলগত বিনিয়োকারীদের পক্ষ থেকে পরিচালক নিয়োগ তথা স্ট্রেটেজিক পার্টনার নিয়োগ।

আরেকটি হল-প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা। এই দুটি কাজ শেষ হলে স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিচ্যুয়ালাইজড হবে। আশা করছি সব যাচাই বাছাই করে যার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তিনি সব ধরনের ক্ষমতা সম্পন্ন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ নভেম্বর ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ প্রথম এমডি ওয়ালি-উল মারুফ মতিন সিএসইর বোর্ডের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এর কিছু দিন পর আবারো ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সিএসই পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এরপর কমিশনের কাছে এই পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি তদন্ত করার পর বোর্ডের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদকে সর্তক করেন কমিশন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আহমদ দাউদকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনাকে মালিকানা প্রভাবমুক্ত করতেই ২০১০ সালের পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারির পর স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) করা হয়েছিল। ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আইন করে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর থেকে সিএসই ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। গঠিত হয় নতুন পরিচালনা পর্ষদ। ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর ওয়ালি উল মারুফ মতিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর। তিন বছরের জন্য তাকে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তার এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
এমএফআই/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।