ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

শিগগিরই রপ্তানিতে যাচ্ছে বসুন্ধরা ‘এ৪’ পেপার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৬
শিগগিরই রপ্তানিতে যাচ্ছে বসুন্ধরা ‘এ৪’ পেপার ছবি- জি এম ‍মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এবার বিদেশে যাবে বসুন্ধরা ‘এ৪’ পেপার। ক্রেতাদের আস্থার প্রতীক বসুন্ধরা ‘এ৪’ পেপার।

বর্তমানে দেশের বাজারের ৯০ ভাগই দখল করে আছে বসুন্ধরার এ কাগজ। শিগগিরই ‘এ৪’ কাগজ  বিদেশে রপ্তানি করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।  
 
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-২ এ ‘বসুন্ধরা পেপারের মোবাইল রিচার্জ অফারের প্রথম পর্বের সারপ্রাইজ গিফট’ প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডিএমডি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন হেড অব সেলস মো. মাসুদুজ্জামান।
 
অনুষ্ঠানে ভাগ্যবান দু’জন ভোক্তার হাতে পুরস্কার হিসেবে স্মার্টফোন তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডিরেক্টর ইয়াশা সোবহান।
 
ডিএমডি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এক সময় দেশের মার্কেটের শতভাগ কাগজই আসতো বিদেশ থেকে। এখন কিন্তু আর সে অবস্থায় নেই। খুব বেশিদিন নয়, বসুন্ধরা গ্রুপ ৩/৪ বছর আগে ‘এ৪’ কাগজ বাজারে আনে। এর আগে বিদেশি কাগজ ‘ডব্লিউএ’ সেঞ্চুরিসহ বিভিন্ন বিদেশি কাগজ মার্কেট দখল করেছিল। আমরা উৎপাদন শুরু করার পর এখন দেশের মার্কেটের ৯০ ভাগই আমাদের দখলে। এছাড়া স্থানীয় যারা ছিলেন তারাও এগিয়ে এসেছেন। ফলে এখন আর বিদেশি কাগজ নেই, সবই দেশি কাগজ। আমরা চিন্তাভাবনা করছি, এবার দেশের বাইরে রপ্তানি করবো। উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছি। শিগগিরই বসুন্ধরার ‘এ৪’ পেপার রপ্তানি করবো।

হেড অব সেলস মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরার পেপারের বড় গুণ আমরা কোয়ালিটির দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ। তাছাড়া দামে সাশ্রয়ী। একারণে দ্রুতই ক্রেতাদের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরার ‘এ৪’ পেপার। আমরা সাধারণত ৬৫ জিএসএম, ৭০ জিএসএম এবং ৮০ জিএসএম কাগজ মার্কেটে ছেড়েছি। আমরা এখন মার্কেট লিডার।  
 
কিছুদিন আগে আমরা ৭০ এবং ৮০ জিএসএম কাগজে স্ক্র্যাচকার্ড প্রোগ্রাম দিয়েছিলাম। সেখানে বলা ছিল এক রিল কাগজ কিনলে তার ভেতর স্ক্র্যাচকার্ড থাকবে। সেই কার্ডের গোপন নম্বর এসএমএস করলেই ফিরতি এসএমএস’র মাধ্যমে দশ টাকার মোবাইল রিচার্জ পাওয়া যাবে। আর তাদের মধ্য থেকে ভাগ্যবান দু’জনকে মোবাইল ফোন পুরস্কার দেওয়া হয়।  

পুরস্কারপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- নারাণগঞ্জের রিব লাইন গ্রুপের নেপাল চন্দ্র রায় এবং খুলনার জাহিদ হাসান। দু’জনই পুরস্কার পেয়ে অভিভূত।  
 
নেপাল চন্দ্র রায় বলেন, বসুন্ধরার পেপারের মান অন্যদের চেয়ে শতগুণ ভালো। বসুন্ধরা এখন আর কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, একটি ব্র্যান্ডের নাম।  
 
খুলনার জাহিদ হাসান বলেন, যেকোনো পুরস্কার পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে সেই পুরস্কার যদি দেশের সুনামধন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া যায়, এর চেয়ে সৌভাগ্যের আর কি হতে পারে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।