ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

আইপিও’র টাকায় উৎপাদন শুরু করবে অ্যাপলো ইস্পাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
আইপিও’র টাকায় উৎপাদন শুরু করবে অ্যাপলো ইস্পাত

ঢাকা: আইপিও ও ব্যাংক ঋণের টাকায় আগামী নভেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাপলো ইস্পাত লিমিটেড।

দ্বিতীয় ধাপে এই উৎপাদন শুরু হলে কোম্পানির এখনকার বাৎসরিক উৎপাদনের চেয়ে আরো ৮৪ শতাংশ বাড়বে।

কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজার উত্তোলিত টাকা এবং রাষ্ট্রায়ত্ব একটি ব্যাংকের ঋণের টাকায় আগামী নভেম্বর মাসে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কোম্পানিটি। গত আগস্ট মাস থেকে চীনের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কোম্পানির কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি ও মেশিন স্থাপনের কাজ করছে।

প্রতিনিধি দলটি প্রাথমিক উৎপাদনের সামগ্রিক কাজ অক্টোবর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করেছে বলে নিশ্চিত করেন অ্যাপলো ইস্পাতের নির্বাহী পরিচালক শেখ আবুল হাসান।

এটি সংবেদনশীল তথ্য উল্লেখ করে কোম্পানির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) হাসান সাজ্জাদ হান্নান বলেন, পরিবেশ বান্ধব উপায়ে আমরা উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে প্রায় ডাবল উৎপাদন করা হবে। চাহিদার ভিত্তিতে আপাতত দেশীয় বাজারে পণ্য বিক্রিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, অ্যাপলো ইস্পাত ২০১৩ সালে ২২০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করেছে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ব একটি ব্যাংকের ৪০০ কোটি ঋণের টাকায় কোম্পানি উৎপাদন বৃদ্ধি করছে।

বাজার ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) হায়দার মাহমুদ বলেন, আমাদের পণ্যের লোকাল চাহিদা অনেক বেশি। তারপরেও ভারতের কিছু অংশকে আমাদের পণ্যের বাজারজাত করণের তালিকায় রেখেছি। তারা আমাদের পণ্যের ভালো দর দিলে অবশ্যই রপ্তানি করবো।

তিনি বলেন, এখন বছরে উৎপাদন হয় ১লাখ ৮০ হাজার টন। তার ওপর দ্বিতীয় ফেস চালু হলে আরো উৎপাদন বাড়বে লাখ টনের বেশি। তবুও প্রাথমিক হিসাবে রয়েছে ১ লাখ টন।

নতুন লক্ষামাত্রা নির্ধারণে কোম্পানিতে কর্মকর্তা ও কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে কারখানায় নতুন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ২০১৩ সালে আমদানি করা হয়।

আমাদানি ও লোকবল সম্পর্কে কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সুমন বলেন, উৎপাদনের জন্য আমাদের সামগ্রিক প্রস্তুতি রয়েছে। চীনের ১০ জন ইতোমধ্যে কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
এমএফআই/বিএস
 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।