টঙ্গী থেকে ফিরে: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে ওষুধ খাতের কোম্পানি পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এ লক্ষ্যে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রোড শো করবে কোম্পানিটি।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) গাজীপুরের টঙ্গীতে কারখানা পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠানের বোড রুমে সাংবাদিকদের এই তথ্য জাননো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কোম্পনির সিএফও কাজী মোহাম্মদ বদরউদ্দিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অপারেশন বিভাগের পরিচালক ড. এম এ মালেক চৌধুরী এবং সেলস অ্যান্ড মাকেটিং বিভাগের পরিচালক কামরুল হাসান প্রমুখ।
এ সময় বলা হয়, পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত ৭০ কেটি টাকার মধ্যে ২৩ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানির ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা হবে। ৪৪ কোটি টাকা দিয়ে ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল তৈরির জন্য সলিড মেশিনারিজ সম্প্রসারণ করা হবে। এ ছাড়া আইপিও বাবদ খরচ হবে ৩ কোটি টাকা। প্রতি বছর ধাপে ধাপে এই টাকা ব্যয় করা হবে।
এছাড়া ভবিষ্যতে ফাঁকা জায়গায় নতুন করে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন করার পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির।
এক প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ১২ টাকা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ৯৬ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বতর্মানে দেশে ওষুদের মোট বাজার ১৫ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকার। সেখানে পপুলার ফার্মার অবদান প্রায় দুই শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে কোম্পানির ব্যবসা হয়েছে ২২৫কোটি টাকা। সেই হিসেবে চলতি বছর সাড়ে ৪‘শ কোটি টাকা ব্যবসা হবে। তবে ২০১৬-১৭ বছরের কোম্পানির ব্যবসা হবে ৫০০ কোটি টাকা বলে জানানো হয়।
এখন দেশের ওষুধ খাতের গ্রোথ গড়ে ২০ শতাংশ হারে হচ্ছে। যা চলবে অগামী ৩০ বছর। সেখানে গত ৩ বছরে কোম্পানিটির ব্যবসায় গ্রোথ হয়েছে ১৫ শতাংশ হারে।
জানা গেছে, ১৬০ কোটি টাকা দিয়ে ২০০৫ সালে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানের বতর্মান সম্পদমূল্য ৫০০ কোটি টাকা। ১৮ বিঘা তথা ৬ একর জমির ওপরে এই কোম্পানিটির ৮ ধরে সলিড সুবিধা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে ৪০০ ব্রান্ডের ১০০টি ধরনের ওষুধ রয়েছে। যা দেশে বিক্রির পাশাপাশি বিশ্বের ১৮টি দেশের রফতানি করা হয়। নতুন করে আরো সাতটি দেশে রফতানির প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
এমএফআই/বিএস