ঢাকা: টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থানের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১১ ডিসেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। লেনদেন শেষে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে কমেছে সূচক, লেনদেন ও বেশিরভাগ কেম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এরপর কেনার চেয়ে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি চাহিদা বেশি থাকায় সূচক পতন শুরু হয়। যা দিনের বাকি লেনদেন পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।
দিনশেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৫৮ পয়েন্ট।
সংশ্লিষ্টরা বাজারের এ অবস্থাকে মূল্যসংশোধন বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, উত্থানের পর পতন এটা পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক নিয়ম।
ডিএসই’র তথ্য মতে, রোববার ডিএসইতে মোট ২৯ কোটি ৩২ লাখ ৭৭ হাজার ১৭২টি সিকিউরিটিজের হাত বদল হয়েছে। টাকার অংকে এর পরিমাণ ৮২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছিলো। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮৬৪ কোটি ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
এদিন তিন সূচকে পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩১ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ১১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি কোম্পানির শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৫৮ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৮ টাকার। এর আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ৫৮ কোটি ৩০ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩১ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ৯৪৩ টাকার।
লেনদেন হওয়া ২৫৫টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ১৫৩টির এবং ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এমএমআই/জেডএস