ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবে আইন পরিপন্থী কিছু নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবে আইন পরিপন্থী কিছু নেই বিএসইসি

ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের ব্যাখ্যার জবাব প্রস্তুত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)।

শনিবার (০৩ মার্চ) ডিএসই জরুরি বোর্ড সভা সব আইন কানুন দেখে এ প্রস্তাবের ব্যাখ্যা তৈরি করেছে ডিএসই বোর্ড।  

এতে বলা হয়, চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবে আইন পরিপন্থী কিছু নেই।

যে সব যুক্তিতে আইন পরিপন্থী নয় বলে ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছে সেইটি রোববার (০৪ মার্চ) বিকেলে কমিশনে জমা দিবে ডিএসই।

বিষয়টি ডিএসইর একাধিক পরিচালক বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে গঠিত বিএসইসির টিম চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবটির কয়েকটি পয়েন্ট যে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তার জবাব প্রস্তুত করা হয়েছে। চীনা প্রস্তাবে কোনো আইন পরিপন্থী কিছু নেই। তারপরও দেশের স্বার্থে আইনগত কোনো কিছু সংশোধন করতে হয়। তবে কমিশনের অনুমোদনের পর চূড়ান্ত চুক্তির সময় সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হবে চীনা কনসোর্টিয়ামকে।

এরআগে কমিশনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইকে প্রস্তাবের কিছু শর্তের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে গঠিত কমিটি। কমিটির চিঠিতে বলা হয়, ডিএসইর সঙ্গে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর চুক্তি যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী করার শর্ত দিয়েছে চীনের কনসোর্টিয়াম। যা বাংলাদেশের আইনের পরিপন্থী।

এছাড়া কোনো বিবাদ দেখা দিলে লন্ডনের আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশন অনুযায়ী সমাধানের প্রস্তাব এবং নতুন কৌশলগত বিনিয়োগকারী অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে চীনের কনসোর্টিয়ামের লিখিত অনুমোদন লাগার শর্তকে বাংলাদেশের আইনের পরিপন্থী। যা বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই বলে কমিটির দাবি।

এদিকে ডিএসইর কোন নতুন শেয়ার ইস্যুর আগে চীনের কনসোর্টিয়ামের লিখিত অনুমোদনসহ আরও কিছু শর্ত দিয়েছে। যেগুলো ডিএসইর আর্টিকেলে সংযোজন করা হলে, চীনের কৌশলগত বিনিয়োগকারীর অনুমোদন ছাড়া ডিএসই গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বলে বিএসইসি পর্যালোচনা কমিটির দাবি।

চীনের কনসোর্টিয়ামের অন্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-পরিচালকদের সংখ্যা পরিবর্তনের আগে চীনের কৌশলগত বিনিয়োগকারীর লিখিত অনুমোদন লাগবে। এছাড়া ১৫শতাংশের অধিক যেকোনো স্থায়ী সম্পদের বিষয়ে, একক বা যৌথভাবে ১০ কোটি টাকার অধিক ঋণ গ্রহণ, যেকোনো ১০ কোটি টাকার ওপরে চুক্তি, একক বা যৌথভাবে ১০ কোটি টাকার ওপরে বিনিয়োগ, কৌশলগত বিনিয়োগকারীর স্বার্থ জড়িত যেকোনো ইস্যু, যেকোনো্ ধরনের ইনটেলেকচ্যুয়াল সম্পত্তি অর্জন, চীনের কৌশলগত বিনিয়োগকারী তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কাউকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগদানের প্রস্তাব, সেটেলম্যান্ট গ্যারান্টি ফান্ড কন্ট্রিবিউশন বাদ বা স্থগিত করতে হবে এবং ডিএসইর আইপিও সংক্রান্ত যেকোনো ইস্যু যেমন, শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ, স্পন্সর নির্ধারণ, অবলেখক নিয়োগ, প্রসপেক্টাস অনুমোদন ও ইস্যু মূল্য নির্ধারণের আগে লিখিত অনুমোদন নেওয়ার শর্ত দিয়েছে চীনের কনসোর্টিয়াম।
এছাড়া আর্টিকেল ১৩৫ অনুযায়ী ২৫ শতাংশ শেয়ার ধারণকারীর সঙ্গে ডিএসই চুক্তি করতে না পারার আইনটি থেকে চীনের কৌশলগত বিনিয়োগকারীকে অব্যাহতি দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে। আর এসব শর্তগুলোকে ডিএসইর আর্টিকেল পরিবর্তন করে সংযোজন করতে হবে।

চীনের কনসোর্টিয়াম যে ৩০০ কোটি টাকার কারিগরি সহায়তা দেবে বলে ডিএসই দাবি করছে, তা নির্ধারণে কোনো নিরপেক্ষ মূল্যায়ন নেই বলে বিএসইসির পর্যালোচনা কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এমএফআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।