ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুবিধা চায় ডিএসই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৮
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুবিধা চায় ডিএসই

ঢাকা: আসছে বাজেটে (২০১৮-১৯ অর্থবছর) সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, ক্যাপিটাল গেইনের (মূলধনী আয়ের) উপর শতভাগ কর সুবিধা চায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বর্তমান নিয়ম অনুসারে কোনো কোম্পানির নামে সঞ্চয়পত্র কেনা যায় না।

মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব র্বোডের (এনবিআর) কার্যালয়ে প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি করে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কেএএম মাজেদুর রহমান। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়াসহ এনবিআরএ ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসইর প্রস্তাবনায় বলা হয়, ৫৩ বিবি এর অধীনে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি, বোনাস এবং শেয়ার ট্রান্সফার বাবদ ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়ে। পুঁজিবাজারে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই এ খাতে শতভাগ কর সুবিধা চায় প্রয়োজন।

একই সঙ্গে স্টক ব্রোকার এবং ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের ওপর ০ দশমিক ০৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। তা পরিবর্তন করে শূন্য দশমিক ০১৫ শতাংশ রাখার দাবি করা হয়।

এ ছাড়াও ডিমিউচ্যুয়ালাইযেশন স্টক এক্সচেঞ্জ পরবর্তী ডিএসইর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা একান্ত প্রয়োজন বলে দাবি করে ডিএসই। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করে ৪শ’ থেকে ৫শ’ কোটি টাকা বেশি পাবে ডিএসই। বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়ও।

এমডি বলেন, পুঁজিবাজারের সঙ্গে এখন ১ কোটি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশ্বায়নের যুগেও স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনের জন্য ডিএসইকে পূর্ণাঙ্গ কর অবকাশ খুবই জরুরি।

তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম সরকার অনুমোদিত ৫ বছর মেয়াদি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ স্কিমের আওতায় স্টক এক্সচেঞ্জের যে সংস্কার কার্যক্রম চলছে তা চলমান রাখতে ও পুঁজিবাজারের অবকাঠামোগত বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির স্বার্থে শতভাগ হারে কর অবকাশ আগামী ২০১৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখা একান্ত প্রয়োজন।

ডিএসইর প্রস্তাবনায় বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ডিএসই বিশ্বমানের ট্রেডিং ও ম্যাচিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। বাজারে ব্যাপ্তি ও লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন, ইটিএফ, ডেরিভেটিভসের মতো অ্যাডভান্স ইন্সট্রুমেন্ট চালুর জন্য কাজ করছে। এসএমই বা স্বল্প মূলধনী কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তত্ত্বাবধানে আলাদা বোর্ড গঠনের কাজ এগিয়ে চলছে।

এছাড়াও আলাদা ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি এবং ওটিসি মার্কেটের আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এসব কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ডিএসই’র আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন। যার ফলশ্রুতিতে সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদে নতুন উচ্চতায় স্থান পাবে।

এক্সচেঞ্জের আয়ের উপর যদি কর আরোপ করা হয়, সেক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লেনদেন ফি’র হার বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে।

যা পক্ষান্তরে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ওপরই বর্তাবে। এতে পুঁজিবাজারের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। যা শিল্প ও বাণিজ্যিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।

আর করের কারণে লেনদেন ফি বাড়িয়ে দিলে ট্রেডের পরিমাণ ব্যাপক হারে কমবে। ফলে বর্তমানের চেয়ে চারগুণ রাজস্ব আয় কমবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।