ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

রোকেয়া দিবসে বেরোবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজন

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪
রোকেয়া দিবসে বেরোবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজন

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
 
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের একাডেমিক কক্ষে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।  

আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাবিউর রহমান প্রধান, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ-উল-হাসান এবং ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহাগ আলী।
কুইজ প্রতিযোগিতায় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জীবনী নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিনজন বিজয়ী নির্বাচিত হন এবং তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন আফিয়া জামান, দ্বিতীয় হন উজ্জল মিয়া ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সুমাইয়া ইসলাম শিহা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বেগম রোকেয়ার জীবন ও আদর্শ নিয়ে বক্তব্য দেন।
তারা বলেন, ‘বেগম রোকেয়া নারীদের শিক্ষার পথিকৃৎ। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষার্থীরা সংগ্রাম, অধ্যবসায় এবং আত্মনির্ভরশীলতার অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতে পারেন। ’

ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহাগ আলী বলেন, ‘ভালো কাজের সাথে শুভসংঘ। তোমরা এর পাশে থাকলে ভালো কাজগুলো শিখতে পারবে।

এতে তোমাদের নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং নিজেকে আরো বড় বলে মনে হবে। ’

মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাসুদ-উল-হাসান বলেন, ‘তোমরা মোবাইল ইন্টারনেট খারাপ কাজে ব্যবহার না করে এমন ইতিবাচক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকো এবং নিজের মনকে বড় করো। বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের শুধু একাডেমিক সার্টিফিকেট দেবে, কিন্তু এরকম সংগঠন এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমের মাধ্যমে তোমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। মনটাকে বড় রাখলে দুনিয়ার অনেক কিছু তুচ্ছ বলে মনে হবে। বসুন্ধরা গ্রুপ এরকম ভালো ও বড় বড় কাজ করে।
তোমরাও এমন উদ্যোগের সাথে থেকে এগিয়ে যাও। ’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শুভসংঘের কার্যক্রম আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আশা করি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুভসংঘের সঙ্গে যুক্ত হবে এবং ভালো কাজের পাশে থাকবে। ’

তিনি বলেন, ‘শুভসংঘ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমি এর পাশে ছিলাম এবং এর কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। শুভসংঘ সব সময় ভালো কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে। একসময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভসংঘ সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম আয়োজন করেছিল, যা এখনও স্মরণীয়। এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি। ’

কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী আনিকা তাবাসসুম বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন এর আগে কখনো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। এতে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। শিক্ষকদের কাছ থেকে বেগম রোকেয়া সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানতে পেরেছি। আমরা চাই, প্রতিবছর এমন আয়োজন নিয়মিতভাবে করা হোক। ’

”আরেক শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার কারণেই আজ নারীরা শিক্ষার পরিবেশ পেয়েছে। তাঁকে কখনো ভুলে যাওয়ার মতো নয়। আমরা চাই, রোকেয়া দিবস আরো জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা হোক। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।