ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

উপকূলীয় নারী ও শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতা সভা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
উপকূলীয় নারী ও শিশুদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতা সভা

উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুর প্রভাব পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা তৈরি, ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ খুলনা কয়রা উপজেলা শাখায় সচেতনতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হল রুমে শিশু ও নারী শিক্ষার গুরুত্ব,  সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা শুভসংঘ কয়রা উপজেলা শাখার আয়োজনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম খয়রুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলামিন ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও গবেষক আ ব ম আব্দুল মালেক, কালের কণ্ঠ কয়রা প্রতিনিধি ওবায়দুল কবির সম্রাট, শিক্ষক অরুণ মন্ডল, আবদুর সবুর, রণজিৎ মন্ডল, সেলিম আহম্মেদ, নাইমুল রনি, তানিয়া সুলতানা, মফিজুল ইসলাম, সাইফুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, খালিদ হোসেন, সুমন হোসেন, আবির হোসেনসহ শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন।

তারা বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে বিশেষত বাংলাদেশের মতো দেশে শিশু ও নারী শিক্ষার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে। অপ্রতুল শিক্ষা অবকাঠামো, সুযোগ সুবিধার অভাব, শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি, দারিদ্রতার কারণে উপকূলীয় নারী ও শিশুরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যা উদ্বেগজনক। ’

বক্তারা আরো বলেন, ‘পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে মেয়েদের শিক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা প্রয়োজন। এই সমস্যা মোকাবেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘ শুরু থেকেই বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মেয়েদের জলবায়ু সহনশীল বিভিন্ন সচেতনতা তৈরি, স্কুল তৈরির মাধ্যমে শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়া এবং উদ্ভাবনী সমাধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার কারণ তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে বঙ্গোপসাগর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য একটি বড় ক্ষেত্র। যেখানে বছরে গড়ে ১২- ১৩টি নিম্নচাপ তৈরি হয় এবং প্রতি বছর কমপক্ষে একটি বা দুটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানে। প্রতি বছর দক্ষিণাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর অনেকে স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। সামাজিক রীতিনীতি ও বাল্যবিবাহ উপকূলীয় এলাকায় মেয়েদের শিক্ষাকে সীমিত করে ফেলে।

এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে মেয়েদের পরিবার শিক্ষা খাতের ব্যয় থেকে সরে আসে। ’

সভায় জলবায়ু পরিববর্তনের ফলে নারী ও শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে আলোচনা শেষে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে কয়রা উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।