সত্তর বছর বয়সী রোকেয়া বেগম। স্বামী আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন ১৬ বছর আগে।
পরিবারের ভরসার স্থল ছেড়ে রোকেয়া শেফালীর মতো অন্তত ২১ জন মায়ের জায়গা হয়েছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া বৃদ্ধাশ্রমে। ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে এসব মায়েদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।
১ জানুয়ারি, বুধবার সকালে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঝিনাইদহ জেলা কমিটির আয়োজনে বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিতরণ শেষে শুভসংঘের বন্ধুরা আশ্রমের মায়েদের সাথে হাসি কান্না আর গল্প আড্ডায় মেতে ছিলেন অনেকটা সময়। তাদের সুখ দুঃখের আলাপচারিতায় সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়। মায়েদের সাথে রান্নাকরা খাবার ভাগাভাগি করে খেয়ে নেন শুভসংঘের বন্ধুরা। ভালোবাসার চাদরে উষ্ণতার পরশ পেয়ে বেশ খুশি বৃদ্ধাশ্রমের মায়েরা।
শেফালী নামের বৃদ্ধাশ্রমের এক মা বলেন, এই আশ্রমে আমাদের স্বজনরা না এলেও অনেকেই আসে। তারা নানা কিছু উপহার দিয়ে যায়। আজ তোমাদের চাদর পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এই শীতে চাদরটি আমার বেশ কাজে আসবে। তোমাদের আন্তরিকতায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।
বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে আসছি। আগামীতে আরো বৃহৎ পরিসরে আমাদের জেলাতে এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক বলেন, বৃদ্ধাশ্রমের মায়েরা সারা বছর আশায় থাকেন অন্তত কেউ তাদের একটু খোঁজ নিক। ভালোবাসা ও মমতা কাতর এই মায়েদের নতুন বছরের প্রথম দিনে কিছু উপহার দিতে এসেছি। তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আমাদের অনেক ভালো লাগছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেয়া রানী প্রামাণিক, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জয়া রানী চন্দ, তাপস কুমার কুণ্ডু, উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি অরিত্র কুণ্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাহিয়ান, নির্বাহী সদস্য রিয়াজ আহমেদ, হাবিবুর রহমান সৌরভ, মোস্তাকিম হোসেন জীম, সমাজ কর্মী গাউস গোর্কি ও জাহান লিমন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক