ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাছে পেরেক ঠোকা রোধে কাজ করছে বসুন্ধরা শুভসংঘ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
গাছে পেরেক ঠোকা রোধে কাজ করছে বসুন্ধরা শুভসংঘ

জয়পুরহাট: গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার ও বিজ্ঞাপন লাগানো বন্ধ করতে কাজ করছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা।  

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ক্ষেতলাল উপজেলার পাঠানপাড়া থেকে মাত্রাই-মোসলেমগঞ্জ রাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে থাকা বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার সরিয়ে ফেলেন এবং গাছের গায়ে ঠোকানো পেড়েক তুলে ফেলেন তারা।

এ সময় সাধারণ মানুষকে গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। সেই সঙ্গে গাছ রক্ষায় আইনের বিষয়েও তুলে ধরেন।  
তাদের এ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আসিফ আল জিনাত।  

বক্তারা বলেন, পেরেক ঠুকে টানানো ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টারসহ নানা রকম বিজ্ঞাপনে গাছ ভরে গেছে। বিশেষ করে সড়কের পাশের গাছগুলো প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপনদাতাদের নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে। গাছে পেরেক ঠুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানোর ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। ফলে সড়কের পাশের গাছগুলো পড়েছে ঝুঁকির মুখে। এমন পরিস্থিতিতে গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন তৈরির কথাও বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তারা বলেন, গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন ও ব্যানার লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে তিন মাসের জেল, সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে পূর্ব থেকেই। ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে গাছে পেরেক বিদ্ধ করে ব্যানার ও বিজ্ঞাপন বন্ধে একটি আইন পাস হয়। এছাড়াও পরিবেশ আদালতে এ সংক্রান্ত আইন রয়েছে কিন্তু  কোনো আইনই কার্যকর করা হয়নি। এ সংক্রান্ত আইনগুলো কার্যকরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তারা। গাছ অক্সিজেন সরবরাহ করে। গাছে পেরেক ঠুকলে তা গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং ধীরে ধীরে গাছ মারা যায়। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই গাছে পেরেক ঠোকা বন্ধ করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আইন কার্যকর হলে কেউ এ কাজ করলে শাস্তির মুখোমুখি হবে।

পরিবেশ কর্মী ও বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট শাখার সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন,  ‘গাছেরও প্রাণ আছে, এটা  কেউ অনুভব করছে না। রাস্তার পাশে অধিকাংশ গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন টানানোয় গাছের ক্ষতির পাশাপাশি সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার। যেসব প্রতিষ্ঠান গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন লাগাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। সেই সঙ্গে উচিত গাছে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিষিদ্ধ করা।

ক্ষেতলাল বন কর্মকর্তা মতিয়র রহমান বলেন, পেরেক ঠুকলে গাছের জীবনীশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। কারণ গাছ শেকড়ের মাধ্যমে খাদ্য গ্রহণ করে। পেরেক ঠুকলে খাবার সংগ্রহে বাধা তৈরি হবে আর গাছের ওই অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তা দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব ঢুকে ধীরে ধীরে গাছ মরে যেতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল শাখার সহসভাপতি রাব্বিউল হাসান জিন্না, যুগ্ম সা. সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান, কার্যকরী সদস্য মোহসীন হাবীব, জাহদ হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৫
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বসুন্ধরা শুভসংঘ এর সর্বশেষ