শুধুমাত্র এ্যান্থনি শাহদিদের শেষ দিন নিয়ে একটি রিপোর্ট করেন ফটো করেসপন্ডেন্ট টাইলার। যে কারো পক্ষে এই পুরো রিপোর্ট পড়ে শেষ করা কষ্টকর হবে, চোখের পানি অাটকে।
জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির মিডিয়া স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক জেনেট ই স্টিল বলেন, ফটো করেসপন্ডেন্টদের রিপোর্টিংয়ের এটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এটা এমন কিছু নয়, তিনি যা দেখেছেন, যা অনুভব করেছেন তাই লিখেছেন। যা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান স্কুল অব পাবলিক স্টাডিজ বিভাগে এজেএফ ফেলোশিপদের ওয়ার্কশপে এসব ধারণা দেন তিনি।
জেনেট বলেন, মানুষের গল্প সবচেয়ে সুন্দর এবং সাবলীল রিপোর্ট। টাইলার রিপোর্ট করতে যেয়ে এ্যান্থনির পরিবারের কথাও বলেছেন। ফটো করেসপন্ডেন্টরা ভালো রিপোর্ট করতে পারেন, কারণ তারা ছবি তোলেন এবং ভিডিও ধারণ করেন।
তিনি বলেন, এটা এমন নয় যে গল্পের শুরু থেকে বলা শুরু করতে হবে। বরং গল্পের শুরুতে আকর্ষণ রাখা যেতে পারে। নিজের বক্তব্যে সেটিকে তুলে ধরতে পারলেই হলো।
করেসপন্ডেন্ট প্রথম পুরুষে রিপোর্ট করলে সেটা মানুষের জন্য পড়তে সহজ হয়। পড়তে ভাল লাগে। যেটা ঘটেছে সেটা লিখলেই হয়, সেখান থেকে পাঠক নিজেই তথ্য নিয়ে নেন।
তিনি বলেন, পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত টাইলার ক্যামেরার সঙ্গে নিজের দৃষ্টিও খোলা রেখেছেন। তিনি কান খাড়া করে রাখতেন যখন ছবি তুলতেন। তিনি যা শুনেছেন সেগুলো পরে রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, রিপোর্ট করার সময় বিভিন্ন দৃষ্টিতে ঘটনাকে দেখতে পারা বড় দক্ষতা। যেটা সকল সাংবাদিকের জন্য জরুরি। অনেক সাংবাদিকই লাইফস্টাইল নিয়ে লিখতে চান না, ভাবেন এ সবতো সবার জানা। আসলে তা নয়, মানুষ এগুলো পড়তে ভালবাসে। মানুষের নিজের জীবনে কি ঘটছে, সেটাও পড়তে ভালবাসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এমএন/আরআই