ব্যাঙ্কক (থাইল্যান্ড)থেকে: জাল ভিসায় থাইল্যান্ড হয়ে অন্য কোন দেশে পাড়ি দেবার আগে সাবধান। মানব পাচারের বিরুদ্ধে দেশটিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক অভিযান ।
গন্তব্য থাইল্যান্ড নয় কিন্তু জাল ভিসায় থাইল্যান্ড হয়ে ভিন্ন কোন দেশে পাড়ি দেবার পথে আটকা পড়ে বেশ কিছু বাংলাদেশি এখন থাইল্যান্ডের বিভিন্ন করাগারে । দূতাবাসের সূত্রমতে এদের সংখ্যা এখন ১২ জন ।
সম্প্রতি দেশটির সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাল ভিসা,ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে ধরা পড়ে দুই বছরের সাজা হয়েছে ২০ বাংলাদেশির ।
এদের সবার গন্তব্য ছিলো কম্বোডিয়ায় । মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে অবৈধ পথে পাড়ি দেবার সময় থাইল্যান্ড উপকূল থেকে আটক বাংলাদেশিদের প্রতি মানবিক আচরণ করা হলেও জাল ও ভুয়া ভিসা নিয়ে দেশটির বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের প্রতি কঠোর মনোভাব দেশটির সরকারের ।
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম বাংলানিউজকে জানান, আমরা দেশবাসীকে সর্তক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি । কেউ অনুগ্রহ করে ভুয়া পাসপোর্ট কিংবা জাল ভিসা নিয়ে এ দেশে আসবেন না । এলেই ধরা পড়তে হবে আর অবধারিত ভাবে ঠাঁই হবে কারাগারে ।
দেশটির অভিবাসন আইন অনুযায়ী জাল ভিসা ও ভুয়া পাসপোর্টে দেশটিতে ধরা পড়লে শাস্তি দুই বছরের জেল ।
রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম জানান, ২০ জনের একটি দল কম্বোডিয়া যাবার পথে ধরা পড়ে। এসব ঘটনা আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে যথেষ্ট ক্ষুণ্ন করে । এদের মধ্যে আটজন দুই বছর জেল খেটে দেশে ফিরেছেন । অন্যরা এখনও জেল খাটছেন ।
‘দণ্ড ভোগকারীদের দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে দূতাবাসের ভূমিকা কি?’ এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দেশে ফেরার ব্যাপারে আমরা তাদের সহায়তা করি । ট্রাভেল পাসের ব্যবস্থা করি। কিন্তু দেশে ফিরতে হবে নিজ খরচে । ’
‘কিন্তু আটকে থাকারা দেশে ফেরার অর্থ পাবে কোত্থেকে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ের চ্যানেলে পরিবারের কাছে বার্তা পাঠাই । পরিবার থেকে বিমানভাড়া পাঠালেই সেক্ষেত্রে দেশে ফেরা সম্ভব । জেল খাটার পর স্বাভাবিকভাবেই থাইল্যান্ডে বাড়তি একটি দিন তার জন্যে অবৈধ অবস্থান । শাস্তির মেয়ার শেষ হবার আগেই পরিবারের উচিৎ তাদের জন্যে অর্থ সহায়তা পাঠিয়ে দেশে ফেরত নেয়া’ যোগ করেন মুনা ।
বাংলাদেশ সময়:০৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪,২০১৫
আরআই