ব্যাঙ্কক (থাইল্যান্ড) থেকে: শিক্ষিত না হয়েও দেশের অনেক মানুষই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারী। বিভিন্ন দেশে প্রবাসী শ্রমিক ও বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক।
কিন্তু ফেসবুকে নেই থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস। এমনকি নিজেও ফেসবুকে নেই মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল কূটনৈতিক ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর ব্যাঙ্কককে যোগ দেন মুনা। চেষ্টা করেন দূতাবাসকে আরো গণমুখী ও গতিশীল করতে। স্বাধীনতা দিবসে আয়োজন করেন বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাই নাগরিকদের কাছে তুলে ধরেন বাংলাদেশের ইতিহাস, কৃষ্টি আর ঐতিহ্য।
তবে প্রবাসীদের অভিযোগ, দূতাবাসের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট না থাকায় দূতাবাসের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা।
ওয়েবসাইটটি সক্রিয় থাকলেও তা একতরফা। তাতে কেবল দূতাবাসের কার্যক্রমই পর্যবেক্ষণ করা যায়। তবে ফেসবুক থাকলে নাগরিকদের কোনো প্রশ্ন কিংবা কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই তাদের।
পররাষ্ট্র ক্যাডারে মুনার পরিচিতি একজন মেধাবী কূটনীতিবিদ হিসেবে। থাইল্যান্ড রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে সাইদা মুনা তাসনিম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ অণুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিসিএস একাদশ ব্যাচের কর্মকর্তা সাইদা মুনা তাসনিম এর আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে লেখাপড়ার পর সাইদা ইউনিভার্সিটি অব অব লন্ডন থেকে পাবলিক পলিসি ও ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। তিনি পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দেন ১৯৯৩ সালে।
থাইল্যান্ডে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় মুনা তুলে ধরেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি ফেসবুকে কেন নেই?
আসলে সময় হয় না। সহাস্যে রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিমের জবাব। আর দূতাবাস? দূতাবাসের তো একটি অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন।
হ্যাঁ। আমরা অনুধাবন করেছি। শিগগিরই আমরা ফেসবুকে আসবো, বলেন মুনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৫
এবি
** বিচারের মুখোমুখি থাইসেনা-পুলিশ কর্মকর্তা
** পাতায়ার ওয়াকিং স্ট্রিটে হাঁটে না দৌড়ায়!
** জাল ভিসা নিয়ে ধরা পড়লেই থাইল্যান্ডে দুই বছরের জেল
** থাইল্যান্ডে স্বদেশিদের স্বজন আদম আলী মীর
** সবার মুখে মুখে ‘লাক মে মাক মাক’
** পাতায়ার ‘ডন’
** বাংলার আলোয় আলোকিত পাতায়া