থাইল্যান্ড থেকে: কর্মজীবী নারী সংখ্যার বিচারে আর সব দেশের তুলনায় থাইল্যান্ড এগিয়ে। দেশটির মোট কর্মজীবীর ৪৭ শতাংশই নারী।
১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে থাইল্যান্ডের চাই থাই রেলস্টেশনে দেখা মেলে মেমের। রেলস্টেশনের দোতলায় একটি পানীয়'র দোকান তার।
মেম ভালো ইংরেজি বলতে না জানলেও বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে হাসি মাখা মুখে সেবা দিয়ে যান। সকাল আটটা থেকে রাত পর্যন্ত চলে মেমের দোকান।
অন্যদিকে মেমের দোকানের কর্মচারী সাহা'কে এক মাত্র ছেলে বোদোকে নিয়ে সকালে কাজে আসতে হয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে থাই ভাষার প্রাথমিক অক্ষর জ্ঞান ছেলেকে দেন সাহা। থাইল্যান্ডের শপিং মল, রাস্তার পাশের দোকানগুলোর বেশিরভাগ বিক্রেতাই নারী। শুধু শপিং মলই নয়, খাবারের দোকানগুলোও নির্ভরশীল নারীদের ওপর।
ব্যাংককের সুকুমবিতের খাবারের দোকানে কাজ করে নানা নামে এক তরুণী। নানা মুসলিম। হিজাব পরেই ক্রেতাদের সেবা দিতে ব্যস্ত থাকেন নানা।
সুকুমবিতের প্লাটিনাম মার্কেটের প্রায় সব বিক্রেতাই নারী।
প্লাটিনামের নারী বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সকাল আটটার মধ্যে দোকানে আসেন। ১০টা পর্যন্ত চলে গোছানোর কাজ। তারপর থেকে শুরু হয় ক্রেতাদের সেবা দেয়া।
ট্রাভেল এজেন্সির ৯০ শতাংশ কর্মকর্তাই নারী। এশিয়ায় নারীদের মধ্যে সর্ব প্রথম ভোটাধিকার পায় থাই নারীরা। ১৯৩২ সালে তারা এই ভোটাধিকার পায়।
দেশটির পার্লামেন্টে নারীদের অংশীদারিত্ব ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ১৯৪৯ সালের ৫ জুন থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে অরপাচিন চাইয়াকান পার্লামেন্টে পদ পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫
ইউএম/এমএন/জেডএম
** ফুকেট বাস টার্মিনাল ২
** ফাংঞ্জা'য় স্বর্ণে মোড়ানো বুদ্ধ
** ফুকেটের পাড়ে পাতং বিচ
** মানবপাচার ঠেকাতে হাইওয়েতে জোরালো তল্লাশি