থাইল্যান্ড, ফুকেট থেকে: ঘুম ভাঙতেই ভোঁ দৌড় সাগর পাড়ে। আন্দামান সাগরের পাড়ের সকাল রৌদ্রোজ্জল।
পাতং পাড়ের পানি কিন্তু অান্দামান সাগরের অন্য দ্বীপগুলোর মতো শান্ত নীলাভ নয়। কক্সবাজার বিচের মতো বালুময় সৈকত। এখানে পানির ঢেউ রয়েছে। স্রোতের সঙ্গে গড়িয়ে আসে বালি।
বিশ্বজোড়া পর্যটকদের জন্য এখন অাকর্ষণীয় বিচ এই পাতং। তাই সকালেই কয়েক হাজার মানুষ বৈচিত্র্যময় এই সৈকতে শুয়ে, বসে, সাগর জলে সাতাঁর কেটে সময় পার করছেন। সকালে টি-শার্ট আর হাফপ্যান্ট পড়ে বিচে গেলেও অনেকের কাছেই নিজেদের খুব অদ্ভুত লাগতে থাকে। টি-শার্ট ছুড়ে ফেলে মনকে সীমানাহীন সাগরে ভাসাতে ঝাঁপ মারে সাগরে। আহা প্রখর রোদে সমুদ্রে সাতাঁর, সমুদ্র স্নান।
পাতং সৈকতের দৈর্ঘ্য খুব বেশি হবে না। পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৩ কিলোমিটারের বেশি নয়। স্থানীয় সিট বা ছাতা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য এখানেও রয়েছে। এক ঘণ্টার জন্যও যদি রোদ এড়িয়ে ছাতার নিচে বসতে চান, তবে একশ’ বাথ গুণতেই হবে। আর তাদের পাতানো প্লাস্টিক বা ছাতা ভাড়া না নিলে গুঁই গুঁই করে থাই ভাষায় বা ইংরেজিতেও গাল খেতে হতে পারে। তবে এসবে একেবারেই পাত্তা না দেওয়াই ভালো। কারণ তারা ঝগড়া বাধাঁনোর তালেই রয়েছে।
এই বালুর সৈকতে সূর্য স্নান করছেন পাশ্চাত্যের নারী-পুরুষরা। অন্তত দক্ষিণ এশিয়দের সংখ্যা সূর্য স্নানে কম ধরে নেওয়া যায়। কারণ সূর্যস্নান বা সমুদ্র স্নানে এই সৈকতে অন্য নারীদের মতো শুধু বিকিনি গায়ে বা সুইমিং কস্টিউম পড়ে আমাদের অঞ্চলের নারীদের সংস্কৃতি উৎসাহ দেয় না।
যত দূর দেখা যায় সাগরের থৈ থৈ পানি। মাঝে মাঝে গর্জন। এই সৈকতের পাড়ে নেই কোনো মনোহরি বা সাগরের ঝিনুক বিক্রির দোকান। বরং বিচ থেকে উঠলেই রাস্তার পার ধরে দোকানগুলো। এর আগে নারিকেল গাছ রয়েছে পাড় জুড়ে। বাগানের পথে সকালের প্রাতঃভ্রমণ সেরে নিচ্ছেন অনেকেই।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্তই এই বিচে ডুব দেন হাজার হাজার মানুষ। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের বিশালতা নিয়ে ঢেউ খেলায় পাতং বিচ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
এমএন/ইউএম/জেডএস
** মানবপাচার ঠেকাতে হাইওয়েতে জোরালো তল্লাশি