ব্যাংকক (থাইল্যান্ড) থেকে: ছিমছাম বাস টার্মিনাল ফুকেটের। তবে শহর থেকে প্রায় এক ঘণ্টার পথ।
প্রায় ৪০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ফুকেট বাস টার্মিনাল ২। এখান থেকেই ছাড়া হয় ব্যাংককের বাস। এছাড়াও ক্রাবি, চুংনম, সুরামবানি, এমনকি পাতায়া যাওয়ার বাসও এখান থেকে পাওয়া যায়।
একটা উচুঁ টিলায় মূল গেট দিয়ে বাস ঢুকে বের হয়। ঢুকলেই টার্মিনাল ভবন। এই ভবনে টিকিট কাউন্টার রয়েছে সারিবদ্ধভাবে। মাত্র টার্মিনালে আসা যাত্রীদের ডাকা হচ্ছে হাঁকে। তবে যাত্রীরা খাঁচাবন্দি থাকায় তাদের হাত ধরে অন্তত টানাটানির সুযোগ নেই।
টিকিট কাউন্টারের পাশেই ট্যাক্সি বুকিং কাউন্টার। এখান থেকে বুকিং দিলে সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যেই আপনি পৌঁছুতে পারবেন গন্তব্যে। টার্মিনাল থেকে শহর পর্যন্ত নির্ধারিত ট্যাক্সি ভাড়া ৪৫০ বাথ। তবে প্রতি একজন বেশির জন্য আলাদা ১৫০ বাথ দিতে হবে।
এখানে হোটেল বুকিং, ট্যুর প্যাকেজ, তথ্য নেয়ার আলাদা কাউন্টারও রয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযোগ কেন্দ্র তো রয়েছেই। ছোট দোতলা ভবনটির ওপরের তলায় দাপ্তরিক কক্ষগুলো।
এরপরই টানা টার্মিনাল। উপরে দীর্ঘ টিনের শেড। সব মিলিয়ে ৬০ টির মতো আসন রয়েছে টার্মিনালে। আর মোট বাস থামার প্লাটফর্ম রয়েছে ২৮টি। বাস নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট প্লাটফর্মেই এসে থামে। বাসের টিকিটের গায়ে প্লাটফর্ম নাম্বারও উল্লেখ করা থাকে।
টার্মিনালে স্বভাবতই কিছু মনোহরদি দোকান থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সেখান পাওয়া যাবে, চিপস, বিস্কুট, চকলেট, পানি, চুইনগাম থেকে অনেক কিছুই। এছাড়াও প্যাকেট ফুডের ধরন আর রকম দেখার মতো। আর কুকুর যে এমন পরিচ্ছন্ন টার্মিনালে কোন বিশৃঙ্খল করে না, তা আয়েসি ভঙ্গিতে শুয়ে থাকা প্রাণীগুলোকে দেখেই বোঝা যায়।
ছিমছাম গোছানো টার্মিনাল ফুকেট। টার্মিনালের দুই দিকেই উঠে গেছে টিলা। আর এক পাশে লম্বা হয়ে বেশ কিছু খাবারের দোকান। সবগুলোতেই অর্ডারের পর খাবার তৈরি করে পরিবেশন করা হয়। এই রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এক কাপ কোল্ড কফি বা বিয়ারের ক্যান নিয়েই সময় কাটিয়ে দেয়া যায় কয়েক ঘণ্টা। দোকানদার কখনোই উঠে যাওযার তাড়া দেয় বলে মনে হলো না।
এখানে বেশিরভাগই থাই সরকারের বাস এক্সপ্রেসের বাস সার্ভিস। অধিকাংশ ডাবল ডেকার। নিচে ১৬টি এবং ওপরে ৩২টি সিট। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যাত্রার এসব বাসের ভেতরেই টয়লেট রয়েছে। আর তাই যাত্রাপথে ছয় থেকে আট ঘণ্টা আগে বাস থামে না কোথাও বিরতি নিয়ে। এছাড়াও রয়েছে ভিআইপি বাস সার্ভিস। যেখানে আপনি ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিতে পারবেন দীর্ঘ পথ।
শহর থেকে আসার পথে ট্যাক্সি চালক জানালেন, ফুকেটে আরেকটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। ১ নং বাস টার্মিনাল থেকে দেশটির আরো দক্ষিণে যায় মানুষ। আর ব্যাংককসহ উত্তরের দিকে আসার জন্য ব্যাবহৃত হয় ফুকেট বাস টার্মিনাল ২।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এমএন/জেডএম