ব্যাংকক (থাইল্যান্ড) থেকে: থাই নারীদের কর্মচঞ্চলতাই প্রমাণ করে, এখানকান নারীরা মানসিক শক্তিতে কতোটা বলীয়ান। সকাল থেকেই রেস্টুরেন্ট, বাস, অফিস, দোকানপাটে ব্যস্ততা বেড়ে যায় নারীদের।
১৯ জানুয়ারি সকাল। ব্যাংককের এনইডাব্লিউ বাস টার্মিনাল। দোকান গোছাচ্ছেন নারীরা। খাবারের দোকানগুলোর টেবিল চেয়ার সাজানো হচ্ছে। পুরো টার্মিনাল জুড়েই নারীদের আধিক্য।
ভারী ভারী সব ল্যাগেজ এক তলা থেকে দোতলায় তুলছেন মেম। সকাল থেকেই নিচের পানীয়ের দোকানে ব্যস্ত থাকতে হয় মেমকে। অন্যদিকে মেমের কর্মচারী সাহা ছেলে বোদোকে নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করেন মেমের পানীয়র দোকানে। ছেলের অক্ষর জ্ঞানের প্রাথমিক শিক্ষাও তিনি দেন দোকানে বসেই।
ব্যস্ত নারী চালক দ্রুত দেখে নিচ্ছেন বাসের সব কলকব্জা। অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
ব্যাংককের সুমনা গেস্ট হাউজের নারী কর্মীরা অভিভূত করেন আমাদের। তরুণী নিজেই গেস্টদের ভারী লাগেজ তুলছেন চারতলা পর্যন্ত। নারী হিসেবে পিছিয়ে নেই মোটেও। যতটুকু না শারীরিক শক্তিতে, তার চেয়ে বেশি মানসিক শক্তিতে বলীয়ান তারা।
ফুকেটে চং কো হোটেলের সামনে এক বয়স্ক নারী যেভাবে পুরো রেস্টুরেন্ট সামলাচ্ছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অর্ডার নেয়া, পরিষ্কার করা, রান্না সবই করছেন এক হাতে।
থাইল্যান্ডের কর্মজীবী মানুষের ৪৭ শতাংশই নারী। বর্তমান এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কর্মজীবী নারীদের অংশীদারিত্বে অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছে থাইল্যান্ড। এশিয়ার নারীদের মধ্য সর্ব প্রথম ভোটাধিকার পায় থাইল্যান্ডের নারী সমাজ। ১৯৩২ সালে থাইল্যান্ডের নারীরা ভোট দেওয়ার অধিকার পান।
দেশটির পার্লামেন্টে বর্তমানে নারীদের অংশীদারিত্ব ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫
ইউএম/জেডএম
** কর্মব্যস্ত থাই নারীদের জীবন
** ফুকেট বাস টার্মিনাল ২
** ফাংঞ্জা'য় স্বর্ণে মোড়ানো বুদ্ধ
** ফুকেটের পাড়ে পাতং বিচ
** মানবপাচার ঠেকাতে হাইওয়েতে জোরালো তল্লাশি