ব্যাংকক থেকে: চাও ফ্রায়া নদীর ধারে গড়ে উঠেছে পর্যটন এলাকা এশিয়াটিক দ্য রিভারফ্রন্ট। আগে ইস্ট এশিয়াটিক কোম্পানির ডক হিসেবে ব্যবহৃত হত এ ঘাট।
নদীর পার ঘেঁষে এই এলাকাটি এখন পৃথিবীজোড়া পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গা। বিকেল থেকেই এখানে জমতে শুরু করে ভিড়। হই-হুল্লোড় লাইভ মিউজিক, ক্লাবিং, নাইট শপিং চলে গভীর রাত অবধি।
ডেনমার্কের ইস্ট এশিয়াটিক কোম্পানি ১৮৯৭ সালে থাইল্যান্ডের প্রদেশ সিয়ামের সঙ্গে বাণিজ্য স্থাপনের জন্য এ ডক তৈরি করেছিলো। কোম্পানি চাও ফ্রাও নদীকে কেন্দ্র করে এ বাণিজ্য ঘাঁটি গড়ে তোলে। নদীর দুই কিনারে গড়ে ওঠে অনেক স্থাপত্য। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এখানে বাণিজ্য চলে।
২০১১ সালের মে মাসে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি টিসিসি ল্যান্ড এ স্থানটিকে বিনোদন এবং পর্যটনের জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব নেয়।
এশিয়াটিক স্কাই রাউন্ডে চড়ে রাধা চক্করের মতো চাও ফ্রায়া নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আর এখনো নদীর ঘাটে ডেনিশ স্থাপনার মতোই ডেক রয়েছে। কাঠের ডেকে হেঁটে বেরিয়ে সন্ধ্যাটা উপভোগ করা যায়।
রয়েছে ক্যালিপসো শো। এ শোতে থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী নাচগুলো প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও শিশু, বুড়ো সবার জন্যই রয়েছে নানা ধরনের রাইড।
বেশ কয়েকটি গলি রয়েছে এখানে। ক্লাব গলি, পানীয় গলি, কারখানা গলি, বাগান গলি। পুরো এলাকা ঘুরতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যাবে। আর সন্ধ্যার পর নদীর কিনারে বসে সময় কাটানো যায়, বন্ধুদের সঙ্গে মেতে ওঠা যায় আড্ডায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
এমএন/এএসআর
** নদীর রাজা ‘চাও ফ্রেয়া’র বুকে
** ‘খরগোশ’ কার্ডে উড়াল ট্রেন ভ্রমণ
** যে টুক-টুক বন্ধ করতে চেয়েছিলেন মেয়র
** তালাবদ্ধ ভালোবাসা
** মানসিক শক্তিতে বলীয়ান থাই নারী
** কর্মব্যস্ত থাই নারীদের জীবন
** ফুকেট বাস টার্মিনাল ২
** ফাংঞ্জা'য় স্বর্ণে মোড়ানো বুদ্ধ
** ফুকেটের পাড়ে পাতং বিচ
** মানবপাচার ঠেকাতে হাইওয়েতে জোরালো তল্লাশি