ঢাকা: ভিসার জন্য থাই দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেওয়া পরে কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও সাড়া পাচ্ছেন না বাংলাদেশের আবেদনকারীরা। ফলে বিপাকে রোগী, ব্যবসায়ী, পর্যটকসহ অনেকে।
দেশটির জাতীয় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে অপেক্ষমাণ বাংলাদেশিদের জন্য থাই ভিসা বাধামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা ও কনস্যুলার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপ-স্থায়ী সচিব রাষ্ট্রদূত সুভাতচিরাপান্ত।
বৃহস্পতিবার থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাত করে এ সমস্যা সম্পর্ক অবহিত করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম। সেই প্রেক্ষিতে সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের এ আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত তাসনিম সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বাংলাদেশি ভিসা আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে কালক্ষেপেণের বিষয়টি অবহিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
২০১৫ সালে এক লক্ষ ১০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক থাইল্যান্ড সফরে করে সেদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জানান যাদের বেশিরভাগই চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবার জন্য এসেছিলেন।
তাই বাংলাদেশি চিকিৎসা ভিসা আবেদনকারীদের আবেদনকে মানবিক ভিত্তিতে বিবেচনা করতে থাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
এছাড়া বিরাট সংখ্যক বাংলাদেশি সরকারি, সামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং প্রকৃত পর্যটক সদস্য প্রতিবছর স্থানীয় আইন এবং নিয়ম মেনে থাইল্যান্ড সফর করেন। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এসব ভিসা প্রার্থীদের জন্য ভিসা ছাড়ের অনুরোধ জানান মুনা তাসনিম।
থাইল্যান্ডকে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সেবা ও পর্যটনের এক নম্বর গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের প্রতি থাইল্যান্ডের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত থাই উপ-স্থায়ী সচিব।
বাংলাদেশিদের জন্য থাই ভিসা নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের এমন প্রশ্নের জবাবে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানান থাই ডিপিএস। এছাড়া ঢাকায় বিচারাধীন ভিসা আবেদনগুলোও বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।
এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত থাই ইমিগ্রেশন ব্যুরো প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাত করে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির ভিসা ও ইমিগ্রেশন সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
জেপি/আরআই