বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী সভা ছিল আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি)। রাজধানীর ফ্যালকন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সভা।
২০১৯ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সাঈদ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর কয়েক মাস পরেই ক্যাসিনো কান্ডে নাম আসে যুবলীগ নেতা ও আরামবাগের কাউন্সিলর সাঈদের। এরপর থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন তিনি। তার অনুপস্থিতিতে হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি যুগ্ম সম্পাদক-১ মো. ইউসুফকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। সাঈদের অবর্তমানে তিনি গত আড়াই বছরের বেশি সময় ফেডারেশন পরিচালনা করেছেন।
প্রায় তিন বছর পর গত ৩০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন সাঈদ। তবে দেশে ফিরলেও প্রকাশ্যে আসছিলেন না। আজই তাকে প্রকাশ্যে কোনো সভায় আসতে দেখা গেল। দেশে ফিরে হকি অঙ্গনে এলেন আজ। সাঈদ পুনরায় ফিরে আসায় দেশের হকি নতুন মোড় নিয়েছে। তার প্যানেলে থাকা কর্মকর্তারা ফের চাঙ্গা হয়েছেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আজকের সভায় সে ছিল এবং স্বাক্ষর করেছে এটুকু বলতে পারি। তার দায়িত্ব এবং আইনী বিষয়গুলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং সভাপতি মহোদয়ের ব্যাপার। ’
মমিনুলের স্বপদে ফেরা নিয়ে আইনগত কোনো বাধা নেই বলেই সভা শেষে জানিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনীর প্রধান শেখ আবদুল হান্নান, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তিনি কমিটিতে ঢুকবেন। এ ব্যাপারে যদি কোনো নীতিগত বাধা না থাকে তাহলে আমার পক্ষ থেকে তো কোনো বাধা নেই। এখানে যারা কমিটির অন্যান্য সদস্য আছেন, সবাই মিলে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে অনুমতি দিয়েছেন। যদি অন্য কোনো বাধা না থাকে তাহলে তিনি যোগ দেবেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। ’
আজকের সভায় আলোচনায় ছিল অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ প্রসঙ্গ। বিদেশি কোচ নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হলেৃও শেষ পর্যন্ত দেশি কোচের সিদ্ধান্তই এসেছে। ‘সকলের মতামতের ভিত্তিতে যারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করিয়েছে সেই কোচিং স্টাফকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি চূড়ান্ত পর্বে ভালো ফলাফলের জন্য বিদেশে ম্যাচ খেলা ও কোচিং স্টাফ শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত এসেছে,’ বলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
এআর/এএইচএম