আর্জেন্টিনায় জনপ্রিয় খেলার কথা বললে প্রথমেই উঠে আসবে ফুটবলের নাম। খেলাটির বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা।
এরপর থেকে বাংলাদেশের প্রতি এক আলাদা টান অনুভব করেন আর্জেন্টিনার মানুষরা। ব্যতিক্রম নন আর্জেন্টিনা কাবাডি দলের কোচ রিকার্দো আকুনিয়াও। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আজ ঢাকায় পা রেখেছেন তিনি। এসেই জানালেন, বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা ভাই-ভাই।
আকুনিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মানুষের একই রকম অনুভূতি, বিশেষ করে কাতার বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনার প্রতি উৎসাহ দেখিয়েছে, টিভিতে আর্জেন্টাইনরা দেখেছে। আমরা অভিভূত। বাংলাদেশের মানুষ ও আমরা ভাই ভাই। ’
জাতীয় দলের কোচ হওয়ার পাশাপাশি আর্জেন্টিনা কাবাডি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকুনিয়া। বয়স ৫৫। তরুণ বয়সে ব্যাডমিন্টন খেলতেন। ব্যাডমিন্টন খেলতে ৪০টি দেশ ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। এবার যুক্ত হলো বাংলাদেশও।
কাবাডি আর্জেন্টিনার ছোট খেলাগুলোর মধ্যে একটি। ২০০২ সালে কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের খেলতে দেখে কাবাডির প্রতি আগ্রহ জন্মায় আকুনিয়ার। সেখানে খেলার নিয়ম-কানুন শিখে নিজ দেশে চর্চা শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনায় সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। কাতার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর উন্মাদনা আরও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে তরুণরা ফুটবলের প্রতি আরও বেশি বুদ হয়েছে। তবে আর্জেন্টাইনরা খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটা খেলা খেলে না, একাধিক খেলা খেলে। ’
আর্জেন্টিনায় কাবাডিতে নিয়মিত কোনো লিগ হয় না, কিন্তু বছরে দুটি টুর্নামেন্ট হয়। বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট খেলতে আসা দলের মধ্যে চারজন পুরনো, যারা ২০১৬ সালে আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ খেলেছেন। দলে তিন জন রয়েছেন কুস্তিগীর, দু’জন দ্বিতীয় বিভাগে ফুটবল খেলেন; আছেন রাগবি, ব্যাডমিন্টন ও তায়কোয়ানদো খেলোয়াড়ও।
আকুনিয়ার সঙ্গে কথায় কথায় উঠে আসে দিয়েগো ম্যারাডোনা প্রসঙ্গ। কিংবদন্তি এই ফুটবলারের সঙ্গে দুইবার দেখা হয়েছে আকুনিয়ার। প্রথমবার ১৯৯৪ সালে যুক্তরাস্ট্র বিশ্বকাপে ডোপিং টেস্টে পজিটিভ হয়ে নিষিদ্ধ হয়ে দেশে ফেরার পর একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এএইচএস