বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকের নেতৃত্বে ভারতের অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগীররা রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরোধিতা করছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে এবং কুস্তিগীররা তার গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া বার্তায় ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ীরা বলেন, ‘আমাদের দেশের কুস্তিগীরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা দেখে আমরা মর্মাহত। বহু কষ্টে অর্জিত পদক গঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার যে ভাবনা কুস্তিগীরদের মধ্যে এসেছে সেটা দেখে আমরা চিন্তিত। বহু দিনের পরিশ্রমের পর পদক জিতেছে তারা। অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে এই পদক পেতে। আমরা অনুরোধ করব এমন কোনও বড় পদক্ষেপ যেন তারা না করে। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি বিচার পাবেন কুস্তিগীররা। দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুক তারা। ’
অধিনায়ক কপিল দেবের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়ে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই দলের সদস্য ছিলেন সুনীল গাভাস্কার, মহিন্দর অমরনাথ, কে শ্রীকান্ত, সৈয়দ কিরমানি, যশপাল শর্মা, মদন লাল, বলবিন্দর সিং সান্ধু, সন্দীপ পাতিল, কীর্তি আজাদ এবং বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনিসহ আরও অনেকেই।
গত মঙ্গলবার অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারা হরিদ্বার গিয়েছিলেন। সেখানে গঙ্গা নদীতে তাদের পদক ভাসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তাদের আটকে দেন কৃষক নেতারা। শেষ পর্যন্ত গঙ্গায় পদক না ভাসিয়ে কুস্তিগীররা পাঁচ দিন সময় দেন। এই সময়ের মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা আবার আন্দোলনে নামবেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করা হয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিশ এখনও কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৩
এএইচএস