হাতছানি দিচ্ছিল একের পর এক মাইলফলক। কিন্তু কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হলো নোভাক জোকোভিচকে।
দুজনের মধ্যকার বয়সের ব্যবধানটা ১৬ বছরের। অভিজ্ঞতার কথা বিচার করলে জোকোভিচ ছিলেন ঢের এগিয়ে। কিন্তু সেসব না ভেবে আলকারাস বিশ্বাস রেখেছিলেন নিজের ভেতর। সেই বিশ্বাসের ভেলায় চড়েই চার ঘণ্টা ৪২ মিনিটের ফাইনালে হারিয়েছেন জোকোভিচকে, জিতেছেন ১-৬, ৭-৬ (৮-৬), ৬-১, ৩-৬, ৬-৪ গেমে, পেয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ।
ফাইনালে উঠে র্যাংকিংয়ে এক নম্বর তারকা আলকারাস বলেছিলেন, জোকোভিচকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু প্রথম সেটে যা হলো এরপর তার কথা মনে পড়লে হয়তো যে কেউই হেসে উঠবেন। তবে পরের সেটে টাইব্রেকারে লড়াই করে ঘুরে দাঁড়ালেন ২০ বছর বয়সী আলকারাস। তৃতীয় সেটে পাত্তাই দেননি জোকোভিচকে। যেন প্রথম সেটে হারের প্রতিশোধটা সুদে-আসলে মিটিয়ে নিলেন। যদিও পঞ্চম গেমে পয়েন্ট পেতে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে কিছুটা। ডিউজ-এডাভান্টেজ হচ্ছিল বারংবার। অবশেষে ২৬ মিনিটের লড়াই শেষে পয়েন্টের দেখা পান আলকারাস। চতুর্থ সেটে কিছুটা ছন্দ হারালেও, শেষ সেটে কোনোভাবেই চড়াও হতে দেননি জোকোভিচকে। যদিও প্রথম পয়েন্টটা জোকোভিচই পান। কিন্তু পরের দুটি গেম জিতে এগিয়ে যান আলকারাস। এরপর তাকে আর পেছনে ফেলতে পারেননি জোকোভিচ।
পুরুষ এককের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর বিপক্ষে জিততে হলে যে, সামর্থ্যের সেরাটা দিতে হবে; সেটা আলকারাস ভালোভাবেই জানতেন। ফাইনালে তার শক্তিমত্তার জায়গাটি সার্ভ। জোকোভিচ যেখানে ২ বার এইস পেয়েছেন, সেখানে আলকারাসের এইস ছিল ৯টি। প্রথম সেটে দিশেহারা থাকলেও পরেরগুলোতে টেনিসের দুর্দান্ত এক প্যাকেজ উপহার দেন তিনি।
যেখানে হার মানতেই হলো জোকোভিচকে। তাই ২৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য তার অপেক্ষাটা আরও বাড়ল। স্পর্শ করা হয়নি কিংবদন্তি রজার ফেদেরারকেও। আটটি শিরোপা নিয়ে উইম্বলডনের চূড়ায় বসে আছেন তিনি। একটি কম নিয়ে তালিকার দুইয়ে।
অন্যদিকে উন্মুক্ত যুগের তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন আলকারাস। এর আগে গত বছর ইউএস ওপেন জিতেছিলেন তিনি। কেন তাকে ভবিষ্যতের সুপারস্টার বলা হয়- সেটারই প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বাংলাদেশ সময় : ০০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এএইচএস/আরএইচ