ঢাকা: ২০১৯ থেকে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এমএলটি ফাউন্ডেশন চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) অনিক মৃধা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবির বিন সাফি, সহসভাপতি এটিএম মুশফিক মাহমুদ, কোষাধক্ষ মো. সাদ্দাম হোসেন অনিক মৃধা ও নির্বাহী সদস্য সৈয়দ এহরাজ আলি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ৪ বছরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বমোট ৩৮টি ই-স্পোর্টস কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কোভিড ১৯ এর সময় বাংলাদেশীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্নত হয়েছে। নাম করা ৪০ জন স্ট্রীমারের বার্ষিক আয় ছিলো (আনুমানিক) ১২ কোটি টাকা। প্রশাসনিক, প্রতিষ্ঠানিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইস্পোর্টসের ব্যাপারে ধারনা একেবারেই নাজুক। তারপরেও বাংলাদেশে যেভাবে ই-স্পোর্টস এগিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে আরও প্রসারণ সহজেই ঘটানো সম্ভব, যেটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।
গেমার সংখ্যা এবং অবসরের সময়ে ই-স্পোর্টস প্রচুর জনপ্রিয় হতে পারে। বেশি গেমার স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতা করতে পারে। ই-স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ টুর্নামেন্ট এবং ইভেন্টের প্রচারে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বাংলাদেশের ক্রীড়া প্রশাসন ও নৈতিক সমর্থনের মাধ্যমে সম্ভব। দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা, বেকারত্ব দুরীকরণ, সংগীত, ইলেক্ট্রনিক্স, বিদেশী বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ই-স্পোর্টস প্রতিষ্ঠান এবং টিম প্রচুর উন্নতি পেতে পারে, যেটি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য ক্যারিয়ার সৃষ্টির দিকে নতুন সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ক্রিকেট এবং ফুটবলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, কিন্তু এই দেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি তরুণ। এমএলটি ফাউন্ডেশন চায় এমএলটি স্পোর্টস এর মাধ্যমে “বক্সিং সাইকেলিস্ট, বাস্কেটবল, সুটিং ও অলেম্পিক অ্যাসোশিয়েশনের আওতাধীন যে খেলা সমুহ আছে সেই খেলায় অন্তত ৫ জন খেলোয়ার বা অন্তত ১টি দল এমএলটি স্পোর্টস এর অন্তর্গত হয়ে নিজেদের উন্নতি করুক। এ প্রেক্ষিতে যা সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হবে তা এমএলটি স্পোর্টস প্রদান করবে, যেন ক্রিকেট ফুটবল ছাড়াও অন্যান্য খেলাধুলা দিয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারি।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭৭ লাখ বেকার তরুণ-তরুণী রয়েছে। এমত অবস্থায় আমরা চাই আমাদের বেকার যুবক যুবতিদের কাজে লাগিয়ে ৭৭টি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সাথে কথা বলে পরারাষ্ট্রনীতি মেনে আমরা তাদেরকে দিয়ে বিভিন্নভাবে রিমোট জব ও ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ করবো। এছাড়াও অনেক সময় আমরা অসাধারণ উদ্ভাবন বা আবিষ্কার দেখি কিন্তু সেই আবিষ্কার বা উদ্ভাবনকে সহযোগিতা করার মতন তেমন কেউ পাশে এসে দাঁড়ায় না। এমএলটি ফাউন্ডেশন খুঁজে খুঁজে তাদের পাশে দাঁড়াবো। আমরা ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে থাকা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো যাতে এই অসাধারণ ও আবিষ্কারক যুবক যুবতীদের খুঁজে বের করে তাদের আর্থিক ও স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
টিএ