সরকারের পালাবদলের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে চলছে বদলের হাওয়া। চলছে সংস্কার।
সহকারী সচিব হুমায়ুন রশিদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এর ২২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার দেশের বিদ্যমান ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/বোর্ড/সংস্থার কার্যক্রম অধিকতর সক্রিয় ও সংস্কারের উদ্দেশ্যে উক্ত ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/বোর্ড/সংস্থার বিদ্যমান সভাপতিগণকে এতদ্বারা অপসারণ করা হলো। ’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এর ২২ ধারায় রয়েছে— কতিপয় সংস্থার সভাপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছু থাকুক না কেন তফসিলে বর্ণিত সংস্থার প্রধান হিসেবে একজন সভাপতি থাকবেন। যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত/ক্ষেত্র মতো, বিধি মোতাবেক নির্বাচিত হইবেন। ’
ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনগুলো হলো ব্যাডমিন্টন, শুটিং, হ্যান্ডবল, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ানদো, টেবিল টেনিস, জিমন্যাস্টিকস, বাস্কেটবল, আর্চারি, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, বক্সিং, বধির ক্রীড়া, বাশাআপ, রাগবি, ফেন্সিং, বেসবল, প্যারা অলিম্পিক কমিটি, সার্ফিং, মাউন্টেনারিং, চুকবল, সেপাক টাকরো, জুজুৎসু, প্যারা আর্চারি, ভারোত্তোলন, উশু, ক্যারম, সাইক্লিং, টেনিস, রেসলিং, রোলার স্কেটিং, কান্ট্রি গেমস, থ্রোবল, ভলিবল, স্কোয়াশ, রোইং, আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানদো অ্যাসোসিয়েশন, ঘুড়ি অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাথলেটিকস, খিউকুশিন কারাতে, খো খো, মার্শাল আর্ট।
ফুটবল এবং ক্রিকেটও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ফেডারেশন। বিদ্যমান ফেডারেশনের মধ্যে এই দুটি খেলা থাকলেও ২২ এর ধারায় এই দুই ফেডারেশনের সভাপতি নিয়োগ হয় না। তাই এই দুই ফেডারেশনের সভাপতি এখনও বলবৎ আছেন। প্রজ্ঞাপনে ‘উক্ত ফেডারেশন সভাপতি অপসারণ’ উল্লেখ আছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সভাপতি সক্রিয়-নিষ্ক্রিয় তালিকা করেছিল। সেই তালিকায় নিষ্ক্রিয়তার ভিত্তিতে সভাপতি অপসারণ হতে পারে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
এআর/এএইচএস