দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই চলছে সংস্কারের কাজ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার করা করা।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পুরোটা জুড়েই দোকান পাট। যেন একটি বাণিজ্যিক এলাকা। দোকানের কারণে খেলার পরিবেশ ব্যাহত হয় এমন অভিযোগ অনেক পুরানো। তবে স্টেডিয়ামের খরচ চালানোর অযুহাতে দোকান চলছে নিয়মিতই। আজ দোকানের অনিয়ম দেখে চক্ষু চড়ক গাছ ক্রীড়া উপদেষ্টার। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায় দোকান পরিদর্শন শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, ‘আমি একটু হালনাগাদটা দেখতে চাইলাম কি অবস্থা। বাস্তবে না আসলে অনেক তথ্যের গ্যাপ হয়। আজ প্রাথমিক ধারণা পেলাম। সরকারি খাতায় আমরা এই দোকানগুলো থেকে ২৬ টাকা স্কয়ার ফিট ভাড়া পাই। দোকানদারেরা ভাড়া দিচ্ছে ২১৭-২২০ টাকা। এত টাকা ভাড়া কাদের দিচ্ছে। আমি তাদের অ্যাগ্রিমেন্ট পাঠাতে বলছি। ’
‘অতিরিক্ত ভাড়াটা কোথায় যায়, কাকে দিচ্ছে- এটা আমাদের বের করতে হবে। এগুলোর সাথে আমাদের মন্ত্রণালয় বা এনএসসির কেউ জড়িত কিনা সেটাও দেখব। ’ যোগ করেন তিনি।
সব কিছুতেই জবাবদিহিতা আনা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। শুধু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম না দেশের প্রায় সব স্টেডিয়ামেই দোকানপাট রয়েছে। এমনও স্টেডিয়াম রয়েছে যেখানে খেলা নেই দীর্ঘ সময় কিন্তু দোকান চলছে নিয়মিতই। যেন স্টেডিয়াম না দোকান করার জন্য অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সব স্টেডিয়াম নিয়েই কাজ করবো। এই স্টেডিয়ামেই প্রায় এক হাজারের মত দোকান রয়েছে। আমরা সব স্টেডিয়াম নিয়েই একটা জরিপ করবো। এরপর এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
এআর