ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

খেলা

এলিট অ্যাকাডেমির আবাসন ভাবাচ্ছে বাফুফেকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
এলিট অ্যাকাডেমির আবাসন ভাবাচ্ছে বাফুফেকে

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এলিট অ্যাকাডেমির ফুটবলাররা থাকেন কমলাপুর স্টেডিয়ামে। সেখানে তাদের ক্যাম্পের আবাসন খাবার ব্যবস্থা একেবারেই অনুন্নত।

বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির আজকের মিটিংয়ের আলোচনায় ছিল সেই সব বিষয়ই। তাদের আবাসন নিয়ে চিন্তিত কমিটি। এর সমাধানের পথও খুজছেন তারা। রয়েছে বেশ কিছু বিকল্প চিন্তা। আজ বাফুফে ভবনে ডেভলপমেন্ট কমিটির দ্বিতীয় সভা আনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান নাসের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

যতদ্রুত সম্ভব এলিট একাডেমির ফুটবলারদের ক্যাম্প বসবাস উপযোগি করে গড়ে তুলতে চান বলে জানিয়েছেন জাহেদী। তিনি বলেন, ‘কমলাপুর স্টেডিয়ামে তাদের যে থাকার ব্যবস্থা সেখানে থাকার কোনও অবস্থা নাই। আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সেখানে তাদের পুরোপুরি থাকার মত ব্যবস্থা করতে পারলেও মোটামুটি একটা থাকার ব্যবস্থা আমরা করবো। আপাতত তারা সেখানে থাকবে। এরপর আমরা দেখবো কি করার যায়। ’

এলিট একাডেমির এই কাজগুলো দ্রুত গতিতে করার জন্য আমরা সাত জনের একটি কমিটি গঠন করেছি। সেখানে কানন ভাই আছেন মানিক ভাই আছেন আরও অনেকে আছেন। তারা এই জিনিসটা দেখশোনা করছেন তাদের তত্ববধানে আমরা দেখবো কি করা যায়। ’ যোগ করেন তিনি।

এলিট অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের ঢাকার বাইরে রাজশাহী এবং যশোরে ক্যাম্প করার ব্যবস্থা করছে বাফুফে। তবে শুরুতেই সেখানে ক্যাম্প করানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বিসিএলে বাফুফে এলিট অ্যাকাডেমির দল রয়েছে। ফলে বিসিএলের পরে রাজশাহী এবং যশোরে ভাগ করে ক্যাম্প করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বিসিএলে আমাদের দল খেলবে। টুর্নামেন্ট চলাকালে তাদের রাখাটাই এখন বড় চালেঞ্জ। আমরা অ-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলবো। ঐটার জন্য আমরা রাজশাহীতে ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজশাহী বিকেএসপির মাঠ আছে থাকার যায়গা আছে। তারাও আগ্রহী আছে আমরাদের সহায়তা দিতে। সম্ভবত অ-১৯ দলের ক্যাম্প আসরা সেখানে করবো। চ্যালেঞ্জ হলো সেখানে রেখে তো আর বিসিএল খেলা যাবে না। আমরা চেষ্টা করবো এখানে বিসিএল খেলা শেষ করে সেখানে ক্যাম্প করতে। ’

‘এবছর আরও দুটি টুর্নামেন্ট আমাদের আছে। অক্টোবরে সাফ এরপর নভেম্বরে এএফসি। আমরা  এই দুটো টুর্নামেন্টকেই খুব সিরিয়াস ভাবে নিয়েছি। এই দুটি টুর্নামেন্টের জন্য আমরা যতদূর সম্ভব ভালো ভাবেই প্রস্তুতি নিবো। এদেরকে একটা দীর্ঘ সময় ক্যাম্পে রেখে প্রস্তুতি নেব যেন দুটো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো ফল করতে পারি। এজন্য মে মাসেই অ-১৭ ফুটবল দলকে আমরা যশোর শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমিতে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। ঐখানে থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা আছে। মাঠ আছে, জিমনেশিয়াম আছে। সব ব্যবস্থা আছে। কোচদেরও থাকার ব্যবস্থা আছে। সেখানে থেকে যেন খেলোয়াড়রা ৫-৬ মাস ক্যাম্প করবে। ’ যোগ করেন তিনি।

এছাড়া আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়েও। দ্রুতেই সেখানে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করতে চায় বাফুফে। দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার কাজের জন্য সেখানে কোনও খেলা নেই। স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শেষ হতে এবছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে শুধু মাঠ ঠিক হলেই সেখানে অনুশীলন শুরু কতে চায় বাফুফে। যদিও এখানে নারী ফুটবল দলের অনুশীলন চলছে। জাহেদী বলেন, ‘জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। সেখানে গ্যালারি তৈরি হতে সময় লাগবে। লাইট হতে সময় লাগবে। তবে আমরা চাচ্ছি যেন মাঠটা দ্রুত তৈরি হলে এটলিস্ট যেন অনুশীলনটা সেখানে চালাতে পারি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।