নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের আয়োজনে যুব কাবাডির (অনূর্ধ্ব-১৮ বালক ও বালিকা) জাতীয় পর্বের খেলা শুরু হয়েছে আজ।
বিকেলে পল্টন ময়দানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
দেশজুড়ে এই বিশাল আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী কাবাডি ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানান। 'কাবাডি জনপ্রিয় খেলা। এই খেলার প্রতি সবার টান আছে। কাবাডিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাবাডি ফেডারেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাই'।
কাবাডির উন্নয়নে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে জানিয়ে রেজাউল মাকছুদ জাহেদী জানান, 'যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কাবাডির উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। কাবাডির বড় আয়োজনে ভেন্যুর যে সংকট রয়েছে তার সমাধানে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট একটা জায়গা দেয়ার চেষ্টা করবো আমরা। কাবাডি দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য পেলে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা হবে। আর খেলতে গিয়ে কেউ আহত হলে মন্ত্রণালয় চিকিৎসা সহায়তা দিবে'।
বর্তমান কমিটি কাবাডিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সব কার্যক্রমই হাতে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ। 'আমরা কাজ করার জন্যই এখানে এসেছি। ইতোমধ্যে আমরা দুইটা টুর্নামেন্ট করেছি। নেপাল আসছে আমাদের সাথে সিরিজ খেলতে। এরপর অন্য দলও বাংলাদেশে আসবে। আমাদের টার্গেট হারানো মেডেল ফিরিয়ে আনা। আজ যুব কাবাডি টুর্নামেন্টে যারা খেলছে এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। জাতীয় দলের পাইপলাইন তৈরি হবে এখান থেকে'।
গত ২০ জানুয়ারি শুরু হয় যুব কাবাডি প্রতিযোগিতা। দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে 'তারুণ্যের উৎসব-২০২৫'-এ জাগরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। দেশের ৬১ জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে যুব কাবাডি প্রতিযোগিতা। ৮ জোনে বিভক্ত হয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৩৯ উপজেলা। বালক ও বালিকা মিলিয়ে অংশ নেয়া দলের সংখ্যা ৫২৯ টি। বালক বিভাগে অংশগ্রহণ করছে ৩৩১ দল। আর বালিকা বিভাগে দলসংখ্যা ১৯৮। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পর জোনাল পর্বে খেলা হয়েছে।
আজ শুরু জাতীয় পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মধুমতী, তিস্তা, ধানসিঁড়ি, ব্রহ্মপুত্র, রূপসা, সুরমা, পদ্মা ও কর্ণফুলী জোনের বালক ও বালিকা বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে। জাতীয় পর্বে বালক বিভাগে ১৭ টি ও বালিকা বিভাগে ১৬ টি দল অংশ নিয়েছে। ৬১টি জেলায় মোট সাত হাজার চারশো ছয় জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিল। সেখান থেকে ৪৪৮ জনের সাথে বিকেএসপির ১৪ জন মিলে মোট ৪৬২ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্বে খেলছে। বালক ও বালিকা উভয় বিভাগের দলগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫
এআর/আরইউ