বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার অনুমোদন পেলেন কানাডায় জন্ম নেওয়া প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত সোম। ফিফা তাকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্বের পূর্ণ অনুমতি দিয়েছে, এ খবর জানিয়েছে ‘ট্রান্সফার মার্কেট’।
এই অনুমতির ফলে শমিত এখন বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় ম্যাচেই তার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো।
কানাডার হয়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলা শমিত ইতোমধ্যেই কানাডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং ঢাকার বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে নতুন বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। বর্তমান ক্লাব ক্যাভালরি এফসির হয়ে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার মিডফিল্ডে শক্তিমত্তা ও ভারসাম্য এনে দিতে পারেন, এমনটাই আশাবাদী কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
বাংলাদেশ জাতীয় দলে হামজা চৌধুরীর পর এটি আরেকটি বড় সংযোজন। প্রবাসী ফুটবলারদের আগমন জাতীয় দলের গঠনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শুধু খেলার মাঠে নয়, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই নামগুলো অনুপ্রেরণার বার্তা বহন করছে।
শমিত সোমের যোগদানে বাংলাদেশের ফুটবলে এক নতুন সম্ভাবনার জানালা খুলেছে। এখন অপেক্ষা কেবল মাঠে তার প্রথম উপস্থিতি দেখার।
শমিত সোমের ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। তিনি বলেন , ‘ফিফা থেকে শমিতকে ছাড়পত্র দিয়েছে। আমরা সেই ছাড়পত্র হাতে পেয়েছি। বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে সেখানে বলা আছে, শমিত বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন। বাফুফে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে খেলাতে পারবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের হয়ে খেলতে শমিতের আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা বাকি নেই। ’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীর ফিফার সবুজ সংকেত পেতে প্রায় চার মাস সময় লেগেছিল। সেখানে শমিতের বিষয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দ্রুত ফলাফল পাওয়ার কারণ হিসেবে ফাহাদ বলেন, ‘প্রথমত তার বাবা-মা দুজনই জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। অরিজিন বেশ সুদৃঢ়। এরপর তিনি কানাডা সিনিয়র দলে খেললেও সেটা অফিসিয়াল ম্যাচ না হওয়ায় প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি স্বল্প সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
এমএইচএম/এআর/এমজেএফ