ঢাকা: স্বাধীনতা কাপের তৃতীয় আসরে শিরোপা জিতে আনন্দে উল্লসিত দল যখন মাঠে ভিক্টরি ল্যাপ দিচ্ছে। তখন টেন্টের এককোনে আনন্দ অশ্রু লুকানোর চেষ্টা করছেন ফরাশগঞ্জের ইতিহাস গড়ার নায়ক কোচ কামাল বাবু।
সাডেন ডেথে মোখলেসুর রহমানের শট জালে জড়াতেই উল্লাসের প্লাবনে ভাসতে থাকেন ফরাশগঞ্জের কর্মকর্তা- সমর্থকরা। কাব কর্মকর্তারা একে একে জড়িয়ে ধরেন সাফল্যের মূল কারিগর কামাল বাবুকে। তাকে আলিঙ্গনে বেধে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। এত খুশি আর আনন্দ! একপর্যায়ে নিজেকে সংবরণ করতে পারেননি কোচ। কামাল বাবুর চোখ বেয়ে অঝোরে গড়িয়ে পড়ে আনন্দ অশ্রু।
কাবের ইতিহাসে সেরা সাফল্য এনে দেওয়ার নায়ক বাক রুদ্ধ হয়ে পড়েন। কোন কথাই মুখ থেকে বেরোচ্ছিল না। কোন ভাষাই যথেষ্ট ছিল না এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো। শুধু এটুকু বললেন,“দল কোন চাপে ছিল না। খেলোয়াড়দের শুধু এটুকুই বলেছি প্রত্যেককে নিজের মতো করে খেলতে। জয় নয় ম্যাচের ভালো ফিনিশিং চেয়েছিলাম। এতটা প্রত্যাশা ছিল না আমার। এ সাফল্য পেশাদার লিগে দলকে ভালো করার প্রেরণা দেবে। ”
বাংলাদেশ লিগের চলতি আসরে তালিকার দশমস্থানে রয়েছে ফরাশগঞ্জ। ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কাবটি প্রথম বিভাগে সুযোগ পায় ১৯৮৩ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১