ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

বাংলাদেশের এবার আরব আমিরাত লজ্জা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫
বাংলাদেশের এবার আরব আমিরাত লজ্জা ছবি : শোয়েব মিথুন /বাংলানিউজটোয়েন্টি.কম

ঢাকা: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে রীতিমতো আকাশে উড়ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল। সৈয়দ গোলাম জিলানীর দলের পা মাটিতে নামতে সময় লাগল না।

সৌদি আরবের বিপক্ষে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার রেশ থাকতেই শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফের লজ্জায় লাল-সবুজরা।

এবার শাওনবাহিনী চূর্ণ আরেক অতিথি সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে। ৬-১ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা।

আমিরাত কোচ আব্দুল্লাহ আল শাহিন দারুণ এই জয়ের জন্য ধন্যবাদ দিতে পারেন ছাত্র মাজেদ রাশেদকে। কেননা দলের ৬ গোলের তিনটিই যে তিনিই করেছেন!

দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্ট জিতে ফর্ম আর আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গেই অবস্থান ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের। স্বপ্নের এএফসিতে জায়গা পাওয়ার আশার পালে যেন তীব্র হাওয়া-ই লেগেছিল। সেই দলটার আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকল বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচের পরই। সৌদি কিশোরদের কাছে অন্তিম সময়ে নাজেহাল হওয়ার বাস্তবতাটা খুব কঠিনই ছিল। ওই ম্যাচের একটি লাল কার্ডই মূলত শাওনদের স্বপ্নভঙ্গের কারণ। গোলরক্ষক ফয়সাল আহমেদ নিজের তো বটেই সর্বনাশ করেন পুরো দলটারই। তার অনুপস্থিতিতে আজ (শুক্রবার) কি দুর্ভোগটাই না পোহাতে হলো বাংলাদেশকে।

নিয়মিত গোল পোস্টের অতন্দ্র প্রহরীর শূন্যতাটা পুষিয়ে দিতে পারেননি নূর আলম। গুরু জিলানীর আস্থার প্রতিদান দেবেন কি উল্টো প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে তিন গোল হজম করতে হয়েছে নূর আলম ও বাংলাদেশকে। একে একে স্কোরারশিটে নাম লিখিয়ে গেছেন স্ট্রাইকার আব্দুল্লাহ আল নাকবি, মিডফিল্ডার মাজেদ রাশেদ, ডিফেন্ডার সুলতান সাঈদ, আল সালেহ আমরো (৩৯ মিনিট)।

সৌদি ম্যাচে প্রান্তসীমায় নাকাল হওয়া স্বাগতিকরা এবার শুরুতেই দেখল বিভীষিকা। বাংলাদেশের বিপদসীমা দিয়ে বয়ে যাওয়া আরব ‘আমিরাত ঝড়’টা থামল ৬৯ মিনিটে, রাশেদের হ্যাটট্রিক নৈপুণ্যে। মাঝখানে ৬টি গোল হজম করা হয়ে গেছে জিলানীর দলের। এদিন গোলপোস্ট অতিথিদের সঙ্গে বেরসিক আচরণ না করলে আরো বড় লজ্জায় পড়তে হতো বাংলাদেশকে।

৫২ মিনিটে করা নিপুর গোলটা স্রেফ হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। কিন্তু তাতে লজ্জা এড়ানো যায়নি। এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বের টিকিট পাওয়ার অভিযানটা এর চেয়ে বাজে ভাবে শেষ করতে পারত না স্বাগতিক বাংলাদেশ।

ম্যাচের বয়স আধ ঘণ্টার আগেই যখন স্কোর লাইন ৩:০, তখন ম্যাচটার আর কিছু বাকি থাকে না। সেখান থেকে ফিরে আসাটাকে অবিশ্বাস্য কিংবা রূপকথা ছাড়া অন্য কিছুই বলা যায় না। কিন্তু এই বাংলাদেশ প্রত্যাশার ছিটেফোটাও পূরণ করতে পারেনি। অবশ্য এ ম্যাচে হারানোর কিছুই ছিল না জিলানীর ছাত্রদের। তাই নির্ভার হয়ে শাওনদের মাঠে নামা। তাই বলে এভাবেই হারবেন তারা, কাটবে না রাহুর দশা? বাংলাদেশের সমর্থকরা আক্ষেপ করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাত ও  সৌদি আরব গ্রুপসেরা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে। জয়ী দলই এএফসির মূলপর্বের টিকিট পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আরএসএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।