ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলে তার ক্যারিয়ারের শেষ অনেকেই দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু লাল-সবুজদের এখনো কিছু দেয়ার সামর্থ আছে ফয়সাল মাহমুদের।
আর এটাই ফয়সালের কাছে বিশেষ কিছু। দলে টিকে থাকাটাই এখন মূল লক্ষ্য মোহামেডানের সাবেক প্রাণভোমরার।
২০০৮ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সি চাপিয়েছিলেন ফয়সাল। দক্ষিণ এশিয়ার এই প্রতিযোগিতার পরই হারিয়ে যান। ছিটকে পড়েন দল থেকে। সাময়িক কষ্টটা চেপে রাখতে পারেননি এই উইঙ্গার। ব্যক্তিগত কারণে পারি জমিয়েছিলেন সুদূর ইংল্যান্ডে। বছর দুয়েক লন্ডনে কাটানোর পর ফুটবলের টানেই পুণরায় ফয়সালের দেশে ফেরা। জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকলেও পেশাদার ঘরোয়া লিগে ক্যারিয়ারের নতুন শুরু করেন ফয়সাল।
ঘরোয়া ফুটবলের দ্যুতি ছড়ানোর পুরস্কার হিসেবে সম্প্রতি ঘোষিত ৪১ সদস্যবিশিষ্ট প্রাথমিক দলে তার ঠাঁই পাওয়া। কিন্তু এখানেই থামতে নারাজ ফয়সাল। তার চোখ ফ্যাবিও লোপেজের চূড়ান্ত দলে।
ফয়সাল বললেন, ‘নিজেকে প্রস্তুত করে এখানে এসেছি। চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেতে আমি সম্পূর্ণরূপে আশাবাদী। ’
দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফয়সালের প্রত্যাবর্তনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। অথচ অবাক হননি ফয়সাল নিজেই, ‘খুব একটা আশ্চর্য হইনি। কারণ আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। পারফরম্যান্সের কারণেই ক্যামব্যাক করতে পেরেছি। ’ অনেক বছরের ব্যবধানে দলে ফিরতে পারায় উচ্ছ্বাসটা চাপা রাখেননি তিনি। পাশাপাশি দেশকে কিছু দেয়ার অঙ্গীকারও ফুটে উঠেছে ফয়সালের কণ্ঠে, ‘আবারো জাতীয় দলে ফিরতে পেরে আমি অনেক খুশি। ইনশাল্লাহ দেশকে কিছু দিতে পারব। ’
ফয়সাল আরো বলেন, ‘আমি পেশাদার ফুটবলার। কখনোই হতাশ হবো না। ২০০১ থেকে এ পর্যন্ত আসতে আমাকে লড়াই করেই আসতে হয়েছে। যতদিন খেলব, লড়াই করে টিকে থাকব। ’
ফয়সালের এই ফেরার গল্পের নেপথ্য নায়কদের একজন, তার বাবা। পরিবারের অন্যদের কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ব্রাদার্স-মোহামেডানের সাবেক তারকা এ ফুটবলার। বলেছেন, ‘দেশে ফেরার পর আমার বাবা এবং বড় ভাই দু’জনই আমাকে খুব উৎসাহ দিয়েছেন। আমার বাবা নিজেও একজন খেলোয়াড় ছিলেন। তখন বাবা বলেছিলেন, ‘যেহেতু তুমি আবারো ফুটবলে কামব্যাক করছো, তাহলে খেলার মতো খেলবে। তোমাকে যাতে মানুষ মনে রাখে। ’ বাবার কথাটা আমি সর্বদাই মনে রাখার চেষ্টা করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আরএসএল/এমআর