ঢাকা: চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর এবার জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের জন্য এটিই বড় উদ্বেগের কারণ।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এমিরেটস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
জয়ে ফিরতে মরিয়া আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচটি যে মোটেই সহজ হবে না সে ইঙ্গিতই দিচ্ছেন গার্দিওলা। তার মতে, ‘প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে আর্সেনাল। চাপের মুখে তারা বিধ্বংসী হয়ে উঠলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নকআউট পর্ব নিশ্চিতে গানাররা নিজেদের উজাড় করে দেবে। বায়ার্নের জন্য কঠিন ম্যাচই অপেক্ষা করছে। ’
বায়ার্ন কোচ উল্লেখ করেন, ‘নকআউট পর্বের শঙ্কা দূর করতে আর্সেনালকে অবশ্যই ম্যাচটি জিততে হবে। এটিই তাদেরকে এগিয়ে রাখবে। তারা যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর্সেনালে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে এবাং তারা খুবই ব্যালেন্সড টিম। তবে নিজেদের কৌশল কাজে লাগিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। ’
এ মৌসুমে একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচও হারেনি বায়ার্ন। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ৪০টি গোল করেছেন মুলার-লেভানডফস্কিরা। তারপরও আর্সেনাল ম্যাচকে কঠিনভাবেই দেখছেন গার্দিওলা। এমিরেটসে খেলা হওয়াতেই তার যত ভয়।
নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে কখনোই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে হারেনি আর্সেনাল। কিন্তু বর্তমান চিত্রটা ভিন্ন। এবার তাদের বায়ার্ন পরীক্ষা। এ ম্যাচে হারের হ্যাটট্রিক করলে গানারদের গ্রুপ পর্ব উতরানোই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। গত ১২ বছরে তারা একবারও নকআউট পর্বের আগে বাদ পড়েনি।
সেপ্টেম্বরে গ্রপ ‘এফ’র প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার ডায়নামো জাগরেবের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের হার দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ মিশন শুরু করে আর্সেনাল। পরের ম্যাচে নিজেদের মাঠেই গ্রীক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের কাছে ৩-২ গোলে হারের লজ্জায় ডোবে গানাররা।
এর আগে ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ পরপর দুই মৌসুমেই নকআউট পর্বে বায়ার্নের মুখোমুখি হয় আর্সেনাল। দু’বারই শেষ ষোল থেকে বিদায় নেয় আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা।
সর্বশেষ পাঁচবারের দেখায় সমান দুই ম্যাচে জয় পায় আর্সেনাল-বায়ার্ন। আর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে বাভারিয়ানরা শতভাগ জয় পেলেও এক ম্যাচে হার মানে গানাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
আরএম