ঢাকা: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমারকে পেছনে ফেলে পঞ্চমবারের মতো ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। নেইমার প্রাথমিক তালিকায় থাকলেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোকে বেশ বড় ব্যবধানেই হারান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য ফিফার ২০৯টি সদস্য দেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক, কোচ ও একজন ক্রীড়া সাংবাদিক ভোট দিয়ে থাকেন। ফিফা ফুটবল কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং ফ্রান্স ফুটবলের একটি বিশেষজ্ঞ দল যৌথভাবে ২৩ জন পুরুষ খেলোয়াড়ের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করেন। সেখান থেকে ভোটাররা তাদের শীর্ষ তিনজনকে বাছাই করে ভোট দেন। প্রত্যেক ভোটার নিজের প্রথম (৫পয়েন্ট), দ্বিতীয়(৩ পয়েন্ট) ও তৃতীয়(১ পয়েন্ট) পছন্দের খেলেয়াড়কে ভোট দেন। তাদের ভোট জনসমক্ষে প্রকাশ করে চূড়ান্ত হয় তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। সেখান থেকেই মেসিকে সেরা ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এই ভোটিং পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলের দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, সে সময়ের কোচ ফ্যাবিও লোপেজ ও ক্রীড়া সাংবাদিক মাহামুদ রায়হান। আর এ তিনজন নিজেদের প্রথম পছন্দ হিসেবে মেসিকেই বেছে নেন। তাই ২৮ বছর বয়সী এ তারকার ৪১.৩৩ শতাংশ পাওয়া ভোটে বাংলাদেশের অবদান মোটেই খারাপ নয়।
মামুনুল প্রথম ভোটটি দিয়েছেন মেসিকে। আর লাল-সবুজ অধিনায়কের দ্বিতীয় ভোটটি যায় পর্তুগিজ অধিনায়ক রোনালদোর বাক্সে। মামুনুল তার তৃতীয় ভোটটি দিয়েছেন নেইমারকে। মামুনুলের মতো মেসি ও রোনালদোকে সে সময়ের জাতীয় দলের ইতালিয় কোচ লোপেজ যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ভোটটি দিয়েছেন। তবে লোপেজের তৃতীয় পছন্দ ছিলেন পোল্যান্ড তারকা রবার্ট লেভানোডফস্কি।
বাংলাদেশি সাংবাদিক রায়হান মেসি ও রোনালদোর পাশাপাশি তার তৃতীয় ভোটটি দিয়েছেন চিলি ও আর্সেনাল স্ট্রাইকার অ্যালেক্সিস সানচেজকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ১২ জানুয়ারি ২০১৬
এমএমএস