ঢাকা: বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর আগ মুহূর্তে বিশ্ব টেনিস তারকাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠে। শুধু ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ নয়, যথেষ্ট প্রমাণাদির নথিপত্রও রয়েছে- দাবি বিবিসি ও ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম বাজফিডের।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, স্বদেশী ডেভিড মারেরোর সঙ্গে জুটি বেঁধে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসে খেলেছেন লারা। লুকাস কুবোত ও আন্দ্রেয়া জুটির বিপক্ষে সে ম্যাচে গড়াপেটায় জড়িত ছিলেন লারা। বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে সে ম্যাচে তাকে হেরে যেতে বলেছিল বাজিকররা।
তবে, এমন অভিযোগের কোনো কারণ দেখছেন না লারা। স্রেফ গুঞ্জন জানিয়ে লারা বলেন, আমি এ অভিযোগ শুনে মর্মাহত। এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে খুব দ্রুত পূর্ণ তদন্ত করা হোক।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মিক্সড ডাবলসের প্রথম রাউন্ডের সে ম্যাচের প্রায় ১৩ ঘণ্টা আগে বাজিকররা লারার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর ম্যাচে লারাদের প্রতিপক্ষ জুটি ৬-০, ৬-৩ সেটে সরাসরি জেতেন।
এক বিবৃতিতে লারা জানান, আমি যদি সত্যিই ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকতাম, তবে তার আগে নিজের হাতে টেনিসের ৠাকেট ভেঙে হাজার টুকরো করে ফেলতাম। আমি ফিক্সার নই। আমার টেনিস ক্যারিয়ারে কখনোই ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলাম না। আমি প্রস্তুত আমার বিপক্ষে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তদন্তের মুখোমুখি হতে। প্রয়োজনে টেনিসের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই তদন্ত করা হোক। আমি কোনোকিছুই তাদের কাছে লুকোবো না।
উল্লেখ্য, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তদন্ত শুরু করেছিল পুরুষদের খেলার পরিচালনা বোর্ড অ্যাসোসিয়েশন অব টেনিস প্রফেশনাল (এটিপি)। ১৬ জন টেনিস তারকাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে সন্দেহ করা হয়। তবে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। গত এক দশকে তারা র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে ছিলেন।
এর আগে টেনিসের আরেক তারকা নোভাক জকোভিচকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত করা হয়। জানানো হয় ম্যাচ পাতানোর জন্য প্রায় দুই লাখ মার্কিন ডলারের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। আট বছর আগে (২০০৭ সালে) বাজিকররা তাকে ওই পরিমাণ অর্থ দিতে চেয়েছিলেন। তবে, সরাসরি তার সঙ্গে কোনো লেনদেনে আসেনি বাজিকররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর
** এখনই সময় ফিক্সারদের নাম প্রকাশের: ফেদেরার
** ফিক্সিংয়ের অভিশাপ টেনিসেও, সন্দেহভাজন গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ীরাও
** দুই লাখ ডলার প্রস্তাব পান জকোভিচ!